নড়াইলে স্বপ্নের খোঁজে ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে হাসপাতালে ইফতার বিতরণ

0
13
নড়াইলে স্বপ্নের খোঁজে ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে হাসপাতালে ইফতার বিতরণ
নড়াইলে স্বপ্নের খোঁজে ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে হাসপাতালে ইফতার বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার

স্বপ্নের খোঁজে ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নড়াইল সদর হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স, রো*গিসহ তাদের স্বজনদের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (৯ মে) বিকেল থেকে ইফতার সময় পর্যন্ত ১৫০জনের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার), সিভিল সা*র্জন ডাক্তার আব্দুল মোমেন, নড়াইল সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার আব্দুস শাকুর, আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার মশিউর রহমান বাবু, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মৃধা শাহিনুজ্জামান, সা*র্জারি বিশেষজ্ঞ আকরাম হোসেন, স্বপ্নের খোঁজে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মির্জা গালিব সতেজ, ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মিনহাজুর রহমান, কে এম রাহাত নেওয়াজ, আহম্মেদ শাকিল, শাহ পরাণ, সোহাগ ফরাজি প্রমুখ।

অতিথিবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মির্জা গালিব সতেজের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, একজন শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসের এই কঠিন সময়ে হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী, রো*গি ও তাদের স্বজনদের মাঝে ইফতার বিতরণ করে মহতি কাজ করেছেন। এছাড়া করোনাকালে দু*স্থদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, বিনামূল্যে সবজি বাজার চালুসহ অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছে সতেজ। আমরা তার (সতেজ) সাফল্য কামনা করি।

এদিকে, গত ৭ মে শহরের রূপগঞ্জ, পুরাতন বাসটার্মিনাল, মহিষখোলা এলাকায় পথচারীসহ বরাশুলা এতিমখানায় স্বপ্নের খোঁজে ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতার বিতরণ করা হয়। এছাড়া ছি*ন্নমূল মানুষের মাঝেও ইফতার দেয়া হয়। লেখাপড়ার খরচ থেকে টাকা জমিয়ে এইসব ইফতারের আয়োজন করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মির্জা গালিব সতেজ।

এর আগে করোনাভাইরাসের দুর্যোগময়কালে স্বপ্নের খোঁজে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা গালিব সতেজের পক্ষ থেকে খাদ্যগুদামের শ্রমিকসহ অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী, মাস্ক ও জীবানুনা*শক বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয়।

স্বপ্নের খোঁজে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মির্জা গালিব সতেজ জানান, ২০১৭ সালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। লেখাপড়ার খরচ থেকে প্রতি মাসে কিছু টাকা জমিয়ে এবং বাবা-মা, দুই ভাই ও মামাদের সহযোগিতায় মানুষের জন্য কাজ করছেন। ভবিষ্যতেও সবার পাশে থাকার কথা বলেন এই তরুণ সংগঠক।