ভালোবেসে চলে যেও না…ভালোবেসে চলে যেতে নেই

4
41

স্পোর্টস ডেস্ক

ভালোবেসে চলে যেও না/ভালোবেসে চলে যেতে নেই। পথ ছেড়ে যেতে পারো দূরে/ অভিমানে দেবে পারি, পুরোটা সাগর/ঢেউয়ে ঢেউয়ে গোধুলীতে/সেও ফিরে ফিরে/জোছনার দিপালীতে ব্যথাগুলো/ মুছে গেছে, আর যেনো নেই নেই/ মুছে গেছে, আর যেনো ব্যথা নেই। প্রিয় গায়কের গায়কের গানটি দিয়েও তাকে হয়তো ফেরানো যাবে না। হয়তো এটাই জাগতিক নিয়ম। এতটাও কি সম্ভব স্বইচ্ছায় প্রাপ্তির বিসর্জন। আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচই অধিনায়ক হিসেবে শেষ ম্যাচ হতে যাচ্ছে অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার। সিলেটে বৃহস্পতিবার দুপুরে ম্যাচ পূর্ববর্তী নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই নিজে থেকে এই ঘোষণা দেন মাশরাফী। ক্যাপ হয়ে হয়তো আর তাকে দেখা যাবে না।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নেতৃত্বের এই পথচলায় তার পাশে থাকার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “কালকে আমার শেষ ম্যাচ অধিনায়ক হিসেবে। আমার প্রতি এত দীর্ঘ সময় আস্থা রাখার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাই। আমার নেতৃত্বে যত ক্রিকেটার খেলেছে বাংলাদেশ দলে, সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আমি নিশ্চিত এই প্রক্রিয়াটা সহজ ছিল না, গত ৪-৫ বছরের ভ্রমণ সহজ ছিল না।”

“ধন্যবাদ জানাই টিম ম্যানেজমেন্ট যারা ছিল, যাদের কোচিংয়ে খেলেছি। নির্বাচক ও বোর্ডের কর্মকর্তা যারা আছেন, বোর্ডের প্রতিটি স্টাফ, সবাইকে ধন্যবাদ সহযোগিতার জন্য। মিডিয়ার যারা আছেন, সবাই সহযোগিতা করেছেন, আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। সবশেষে সমর্থকেরা, যারা বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রাণ, আপনাদের সমর্থন ছাড়া সম্ভব হতো না।”

এটুকু বলার পর ছোট্ট লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান মাশরাফি। “আজকে আমি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাচ্ছি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি অধিনায়ক হিসেবে আমার শেষ ম্যাচ। খেলোয়াড় হিসেবে আমি চেষ্টা করব, আমার সেরাটা দেওয়ার, যদি সুযোগ আসে। শুভ কামনা থাকবে পরবর্তী অধিনায়কের জন্য।”

মাশরাফীর ঘোষণা শেষের পর শুরু হয় প্রশ্নোত্তরের পালা। ৩৫ মিনিটের দীর্ঘ সংবাদ সম্মেলনে উঠে এসেছে তার নেতৃত্বের নানা অধ্যায়।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি জিতলে বাংলাদেশের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডেতে ৫০ জয়ের স্বাদ পাবেন তিনি। সেই মাইলফলক ধরা দিক বা না দিক, দেশের হয়ে টস করতে নামছেন শুক্রবারের ম্যাচেই শেষবার।

বাংলাদেশের ক্রিকেটে মাশরাফীর নেতৃত্বের অধ্যায় শুরু হয়েছিল ২০০৯ সালে। সব মিলিয়ে তিনি দেশের রেকর্ড ৮৭ ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং রেকর্ড ৪৯টি জয়ও এসেছে তার অধিনায়কত্বেই।