নড়াইল সরকারী উচ বালক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে দুদক কমিশনার

922
59
নড়াইল সরকারী উচ বালক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে দুদক কমিশনার
নড়াইল সরকারী উচ বালক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে দুদক কমিশনার

স্টাফ রিপোর্টার

দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (তদন্ত) এএফএম আমিনুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমাদের সন্তানদেরকে আমরা যেনো ছোট বেলা থেকেই ভাল শিক্ষাটা দিতে পারি। তাদেরকে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। আজকে আমরা বিভিন্ন অভিযোগের কথা বলি, দুর্নীতির কথা বলি, দুর্ব্যবহারের কথা বলি। কিন্তু পরিবার ও বিদ্যালয় থেকে ভাল শিক্ষা দিতে না পারলে সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে না। ছাত্রদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা করতে হবে।

শিক্ষক ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শিক্ষার বিকল্প নেই এটা যেমন সত্য। আমাদের সন্তানরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ক্যাডার সার্ভিসের বড় বড় অফিসার হয়ে বড় বড় চেয়ারে বসবে। কিন্তু আমরা যদি আমাদের সন্তানদেরকে ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে না পারি। তাহলে এসব চেয়ারে বসে কোন লাভ হবে না।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারী) বিকেলে নড়াইল সরকারী উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার সমাপণী ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।

কোচিং বাণিজ্যের কথা উল্লেখ করে শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি বলেন, আপনারা কোচিং এর দিকে মনোযোগ না দিয়ে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের ভাল করে পড়ান। ছাত্রদেরকে প্রকৃত মানুষ করতে হলে টাকা নিয়ে কখনো ভাল সম্পর্ক হয় না। প্রকৃতপক্ষে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে পারস্পারিক সুন্দর সম্পর্ক হবে। টাকা দিয়ে কখনো মর্যাদা কেনা যায় না।

নড়াইল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠকে ঐতিহাসিক মাঠ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই মাঠে জনসভা করেছিলেন। আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবছর পালন করতে যাচ্ছি। দুর্নীতিমুক্ত বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে আমাদেরকে এগিয়ে আসতে হব।

নড়াইল সরকারী উ”চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মহীতোষ কুমার দের সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষক ইদ্রীস আহম্মদ এর সার্বিক পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নড়াইলের জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ জসিম উদ্দিন (পিপিএম), জেলা শিক্ষা অফিসার এসএম ছায়েদুর রহমান, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী হাফিজুর রহমান, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক মলয় কুমার কুন্ডু, পৌরকাউন্সিলর শরফুল আলম লিটু প্রমুখ। দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ইভেন্টে তিন শতাধিক প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে।