নড়াইলে পুলিশ সুপারের প্রচেষ্টায় ২০টি মোবাইল ফোন ফেরত পেলেন দোকানি

1
68

স্টাফ রিপোর্টার

পুলিশ সুপারের প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতায় ২০টি নতুন মোবাইল ফোন ফেরত পেলেন দোকানি। রোববার (১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) দোকানের ম্যানেজার রিপন হোসেনের হাতে হারিয়ে যাওয়া এক কার্টুন নতুন মোবাইল ফোন তুলে দেন। এর মধ্যে সিম্ফনি ব্যান্ডের নতুন ২০টি মোবাইল ফোন রয়েছে। যার মূল্য প্রায় দুই লাখ টাকা। সিসিটিভির কল্যাণে হারিয়ে যাওয়া এই ফোনগুলো ফেরত পেলেন দোকানি।

নড়াইল হাসপাতাল মার্কেটের মোবাইল ফোনের শোরুম ‘হ্যালো পৃথিবী’র ম্যানেজার রিপন হোসেন জানান, ৩০ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে শহরের রূপগঞ্জে সুন্দরবন কুরিয়ার থেকে নতুন মোবাইল ফোনের ১৬টি কার্টুন নিয়ে ইজিবাইকে করে শোরুমে আসার পথে একটি কার্টুন ওই যানবাহন থেকে নামাতে ভুল যান তিনি। পরবর্তীতে সেই ইজিবাইকের সন্ধানে শহরের অনেক স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন তারা। তবে কোনো সুফল মেলেনি। বিষয়টি নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনকে জানালে তিনি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ইজিবাইকটিকে সনাক্ত করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে ওইদিন দুপুর ২টার মধেই ইজিবাইকটির খোঁজ পেয়ে যায় পুলিশ। এই ইজিবাইক চালকের নাম সাদ্দাম হোসেন (২৫)। তার বাড়ি নড়াইল সদরের গোবরা এলাকায়।

মোবাইলগুলো ফেরত পেয়ে দোকান ম্যানেজার রিপন হোসেন বলেন, পুলিশ সুপারের আন্তরিকতায় হারিয়ে যাওয়া এক কার্টুন মোবাইল ফোন (২০টি) ফেরত পেয়েছি। এর মূল্য প্রায় দুই লাখ টাকা। স্যারের এ প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতা ভোলার নয়। সর্বত্রই এমন পুলিশ কর্মকর্তার প্রয়োজন।

এদিকে ইজিবাইক চালক সাদ্দাম হোসেনের (২৫) বরাত দিয়ে রিপন জানান, সাদ্দামের ইজিবাইকে মোবাইল ফোনের কার্টুন ফেলে যাওয়ার পর তিনি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। কীভাবে প্রকৃত মালিকের কাছে এই কার্টুনটি পৌঁছে দেবেন সে বিষয়ে চিন্তিত ছিলেন তিনি। সাদ্দাম তার জিম্মায় রেখে কার্টুন মালিকের সন্ধান করেও খুঁজে পাচ্ছিলেন না। সিদ্ধান্ত নেন, রোববার (১ ডিসেম্বর) শহরে মাইকিং করবেন। তার আগেই সিসিটিভির মাধ্যমে ইজিবাইক চালক সাদ্দামের খোঁজ পেয়ে যায় পুলিশ।