পদ্মাসেতুর মোট দুই হাজার ২৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে, দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে কাজ

0
34

নিউজ ডেস্ক

পদ্মাসেতুর মোট দুই হাজার ২৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে। সেতুর জাজিরা প্রান্তে (মাদারীপুর) ২৩-২৪ নম্বর পিয়ারে স্থায়ীভাবে বসেছে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ১৫তম ‘৪-ই’ স্প্যান। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পদ্মাসেতুর সহকারি প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির।

‘৪-ই’ স্প্যানটি বসানোর পর সেতুর ৪১ টি স্প্যানের মধ্যে ১৫ টি স্প্যান বসানো হয়েছে। এরমধ্যে মাওয়া প্রান্তে একটি স্প্যান অস্থায়ীভাবে বসানো রয়েছে। জাজিরা প্রান্তে ১১ টি স্প্যানের মোট ১৬৫০ মিটার ও মাওয়া প্রান্তের তিনটি স্থায়ী ও একটি অস্থায়ী স্প্যান মিলে মোট ৬০০ মিটার মিলিয়ে সেতুর মোট দুই হাজার ২৫০ মিটার দৃশ্যমান হল। প্রায় চার মাস পর পদ্মা সেতুর ১৫তম স্প্যান বসানো হল। এর আগে গত ২৯ জুন ১৪তম স্প্যান বসানো হয়েছিল।

১৫তম স্প্যানটি বেশ কয়েকদিন ধরে বসানোর জন্য পিয়ার ২৩-২৪ এর কাছে অবস্থান করছিল। কিন্তু নাব্যতা সঙ্কটের কারণে স্প্যানটি বসাতে বিলম্ব হয়। অনবরত ড্রেজিং করে স্প্যানবাহী জাহাজটি যথাস্থানে যাওয়ার জন্য পানির গভীরতা তৈরি করে স্প্যানটি আজ মঙ্গলবার স্থাপন করা হয়।

এছাড়া আরও চারটি স্প্যান কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে আছে ও একটি চর এলাকায় ২৮ নম্বর পিয়ারের কাছে মোট ৫টি স্প্যান সম্পূর্ণ রেডি অবস্থায় রাখা আছে। এ স্প্যানগুলো অল্প সময়ের মধ্যে স্থাপন করা হবে।

এদিকে চীন থেকে পদ্মা সেতুর কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে আরও একটি স্প্যান পৌঁছেছে। এটা নিয়ে সেতুর মোট ৩১টি স্প্যান কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে পৌঁছাল। ৪-এ স্প্যানের অংশগুলো এখন জাহাজ থেকে খালাস করা হচ্ছে। আরও চার-পাঁচদিন সময় লাগবে পুরো স্প্যান খালাস করতে।

সূত্রে জানা যায়, মোট ৪১টি ট্রাস বা স্প্যানের মধ্যে চীন থেকে মাওয়া সাইটে এসেছে ৩১টি। এর মধ্যে ১৫টি স্প্যান পিয়ারে স্থাপন করা হয়েছে। জানা গেছে, রেলওয়ে স্ল্যাব এর জন্য ২৯৫৯ টি প্রি-কাস্ট স্ল্যাব প্রয়োজন হবে। এরমধ্যে ২৮৯১ টি স্ল্যাব তৈরির কাজ শেষ হয়েছে এবং বাকি স্ল্যাব আগামী নভেম্বরে তৈরি শেষ হবে। রেলওয়ে স্ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে ৩৬১টি। অন্যদিকে ২৯১৭টি প্রি-কাস্ট রোডওয়ে ডেক স্ল্যাব এর মধ্যে ১৫৫৩ টির কাজ শেষ হয়েছে এবং ৫৪ টি স্থাপন করা হয়েছে।

মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কো¤পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। সূত্রঃ বাসস