বঙ্গবন্ধুকে জানতে পারলে, বাংলাদেশকে জানতে পারবেঃ মাশরাফী

0
163

নিউজ ডেস্ক

১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের “কারাগারের রোজনামচা” বইয়ের উপর আয়োজিত কুইজ প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি’র তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এর কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইয়ের উপর কুইজ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম লটারীর মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়।

ফলাফল ঘোষণা ও লটারীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী ও অধ্যক্ষ, সুরের ধারা অধ্যাপক রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ আনিসুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ’র অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ ও ডিসি তেজগাঁও এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে অনুষ্ঠানটি লাইভ প্রচার করা হয়। কুইজ প্রতিযোগিতাটি দুইটি শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছিল। প্রথমটি ৮ম শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী ও দ্বিতীয়টি ছিল একাদশ শ্রেণী থেকে তদূর্ধ্ব শ্রেণী পর্যন্ত। বঙ্গবন্ধুর ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইয়ের উপর অনুষ্ঠিত কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হলেন যাঁরা-

৮ম শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণীঃ ১ম- ক্রমিক নং ১৮৪২ তানভির মাহমুদ, ৮ম শ্রেণী , স্কুল- নাখালপাড়া হোসেন আলী উচ্চ বিদ্যালয়। ২য়- ক্রমিক নং ১৩৪৬ শেখ মোঃ তাসলিম রহমান ফাহিম, ৯ম শ্রেণী, স্কুল- তেজগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। ৩য়- ক্রমিক নং ২৭৮৭ অধরা দেবনাথ, ১০ম শ্রেণী, স্কুল- হলিক্রস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। ৪র্থ- ক্রমিক নং ২৫২৫ মাহবুব হাসান, ৯ম শ্রেণী, স্কুল- নাখালপাড়া হোসেন আলী উচ্চ বিদ্যালয়। ৫ম- ক্রমিক নং ৮৩৫ মোঃ বাদল, ৫ম শ্রেণী, স্কুল- ড. ওয়াজেদ মিয়া মডেল স্কুল এন্ড কলেজ।

৬ষ্ঠ- ক্রমিক নং ১০০৫ মোঃ বারাকত হোসেন, ৯ম শ্রেণী, স্কুল- শহীদ মনু মিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। ৭ম- ক্রমিক নং ৫৫৫ মোঃ সাব্বির ইসলাম আপন , ৮ম শ্রেণী, এসএম জিনিয়াস স্কুল এন্ড কলেজ। ৮ম- ক্রমিক নং ১২৫৮ মোঃ নাইমুল ইসলাম , ৯ম শ্রেণী, স্কুল তেজগাঁও আদর্শ স্কুল কলেজ। ৯ম- ক্রমিক নং ১৯২৮ কৌশিক আহমেদ, ৯ম শ্রেণী, স্কুল নাখালপাড়া হোসেন আলী উচ্চ বিদ্যালয়। ১০ম – ক্রমিক নং ১৯৫৮ আদনান হোসেন, ৯ম শ্রেণী, স্কুল নাখালপাড়া হোসেন আলী উচ্চ বিদ্যালয়।

একাদশ শ্রেণী থেকে তদূর্ধ্ব শ্রেণীঃ ১ম- ক্রমিক নং ৫৩৭২ তানিয়া, স্নাতক, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। ২য়- ক্রমিক নং ৮৬১০ সুমাইয়া আক্তার, মাস্টার্স, বালিয়াহাট ডিগ্রি কলেজ। ৩য়- ক্রমিক নং ৭২৯৯ প্রমা বণিক, দ্বাদশ, হলিক্রস কলেজ। ৪র্থ-ক্রমিক নং ৯৭০৮ মাহমুদুল হক, ডিপ্লোমা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। ৫ম- ক্রমিক নং ৮৬১৪ গোলেনুর আক্তার তমা, অনার্স, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী।

৬ষ্ঠ- ক্রমিক নং ৭২৮৩ কাজী আতিভা তসলিম, দ্বাদশ শ্রেণী, হলিক্রস কলেজ। ৭ম- ক্রমিক নং ৬৭৮৬ তানজিলা আক্তার তন্নি, ডিপ্লোমা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। ৮ম- ক্রমিক নং ৮৫৭৭ সাবরিনা মুনছুর, অনার্স, ঢাকা মেডিকেল কলেজ। ৯ম- ক্রমিক নং ৯৭০৬ মোঃ মোরশেদ খান, ডিপ্লোমা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। ১০ম- ক্রমিক নং ৫৯৬৯ প্রিয়সী মন্ডল, দ্বাদশ শ্রেণী, রামপুরা ইকরামুন্নেছা ডিগ্রি কলেজ।

কুইজ প্রতিযোগিতার ৮ম শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী ও একাদশ শ্রেণী থেকে তদূর্ধ্ব শ্রেণীর বিজয়ীদের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় জনকে পুরস্কার হিসেবে ল্যাপটপ দেয়া হবে। আর বাকি আট জনকে ট্যাব পুরস্কার হিসেবে দেয়া হবে। এছাড়াও যারা ১০০টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েছেন কিন্তু লটারীতে তাদের নাম উঠেনি, তাদেরকে ও লটারীতে বিজয়ী ২০জনকে তেজগাঁও বিভাগ হতে বড় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরস্কৃত করা হবে বলে জানান তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার।

বঙ্গবন্ধুর কারাগারের রোজনামচা বইয়ের উপর কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজন করায় সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা বলেন, আপনারা অনেক সুন্দর একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন। যার ফলে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুকে জানতে পেরেছে। বঙ্গবন্ধুকে জানতে পারলে তারা বাংলাদেশকে জানতে পারবে।

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেন, ভবিষ্যতে এমন প্রতিযোগিতা আয়োজন করলে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আরো জানা যাবে। আমাদের কোমলমতি শিশুরা এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশের জন্য, মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগের কথা জানতে পেরেছে। যা নিঃসন্দেহে প্রশাংসার দাবিদার।

উল্লেখ্য, ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের “কারাগারের রোজনামচা” বইয়ের উপর কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ডিএমপি’র তেজগাঁও বিভাগ। এতে স্কুল ও কলেজের মোট ১০,০২৮ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। কুইজ প্রতিযোগিতায় মোট ১০০টি প্রশ্ন ছিলো। ১০০ টি প্রশ্ন সঠিক উত্তর দিয়েছে ৪৩৯ জন। তাদের মধ্য হতে উল্লেখিত ২০ জনকে লটারীর মাধ্যমে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।