নড়াইল জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি আড়াই বছরেও হয়নি!

0
73

স্টাফ রিপোর্টার

দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ। হতাশ হয়ে পড়েছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের পদ প্রত্যাশীরা। জানাগেছে, ২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের প্রায় দেড় বছর পর ২০১৭ সালের ৯ মে তারিকুল ইসলাম উজ্জ্বলকে সভাপতি, জয়দেব কুমার দাস ও গাজী রাজিব আহম্মেদ রাজুকে সহ-সভাপতি এবং জিএস পলাশকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়।

দির্ঘদিন পর কমিটি হওয়ায় দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দেয়। তবে দীর্ঘদিন অহিবাহিত হলেও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি সভাপতি-সম্পাদকদ্বয়। কেন্দ্রে একটি পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি জমা দেয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। যার মধ্যে ঢাকায় অবস্থানকারী এমনকি দেশের বাইরে অবস্থান করলেও তাদের নাম রহস্যজনক কারণে রাখা হয়েছে ওই তালিকায়। এর মধ্যে ঢাকায় অবস্থান করেন কাজী মুশফিকুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল মামুন চঞ্চল, কাজী জাহিদুল ইসলাম, কাজী নাহিদুর রহমানসহ আরও অনেকে। এছাড়া দেশের বাইরে অবস্থান করেন নিকসন রহমান, কবির হোসেন (সম্প্রতি দেশে এসেছেন), মহসিন আলম (সম্প্রতি দেশে এসেছেন), মো.আজাদ হোসেনসহ কয়েকজন।

কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া সভাপতি-সম্পাদক দু’জনের স্বাক্ষরিত বিভিন্ন ব্যক্তিকে বিভিন্ন পদ উল্লেখ করে চিঠি দিয়েছেন। অথচ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কোন কমিটিই অনুমোদন দেননি। প্রায় এক বছর পূর্বে একটি তালিকা কেন্দ্রে জমা দেওয় হয়েছে বলে জানাগেছে। দলীয় নেতৃবৃন্দ আরও জানায়, স্থানীয় এমপি বিভিন্ন সংগঠনের নামে নদী তীরবর্তী অস্থায়ীবাধ নির্মাণের জন্য ভাঙ্গন প্র*তিরোধে জন্য কাজ ভাগ করে দেন। এর মধ্যে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগও রয়েছে। তাদের দেয়া হয়েছে প্রায় দুই কোটি টাকার কাজ।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম উজ্জ্বল এবং সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে জি এস পলাশ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে কিছু নেতাদের জেলা কমিটিতে পদ উল্লেখ করে চিঠি দেয়া হয়েছে এ কথা সত্য। আগামী দু’মাসের মধ্যে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ টে**ন্ডারবাজী বা সংগঠন বি**রোধী কোন কর্মকান্ড করেনি। অহেতুক উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাদের ওপর মিথ্যা অভিযোগ এনে দোষারোপ করা হচ্ছে বলে তাদের দাবি।

কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক সালেহ মোহাম্মদ টুটুলের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ব্যস্ত আছি বলে ফোন কেটে দেন। কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট মোল্যা মোঃ আবু কাওছার ফোন নম্বর- ০১৭১২-৫৫৫২৯১ (বর্তমানে দেশের বাইরে)। কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজন দেবনাথ ফোন নম্বর- ০১৭৪১-১১৫৬৫৬। পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়ছে কিনা জানতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক সালেহ মোহাম্মদ টুটুল ফোন- ০১৭১১-৬০৭৪২২। অভিযোগের বিষয়ে জানতে জেলা সভাপতি তারিকুল ইসলাম উজ্জ্বল ফোন- ০১৭১২-৬৩২৭৫৬। সাধারণ সম্পাদক জি এস পলাশ ফোন নম্বর-০১৭১৬-২২৫৫৬৭।