শাহজাদপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরি ধর্ষণের শিকার

2
16

স্টাফ রিপোর্টার

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পল্লী অঞ্চল কৈজুরি ইউনিয়নের জয়পুরা গ্রামের রিকশা চালক নুরুল ইসলামের ১৫ বয়স বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে একই গ্রামের আমিরুল ইসলামের কলেজ পড়ুয়া ছেলে আব্দুল মমিন মুন্না (২২) ফুসলিয়ে যমুনা নদীর ধারের কাঁশবনে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে।

এ ঘটনায় গত ৯ জুন দুপুরে ধর্ষিতার বাবা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় ধর্ষক আব্দুল মমিন মুন্না (২২) কে একমাত্র আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ দিনই আদালতের নির্দেশে ধর্ষিতার মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।

ধর্ষিতার দাদি ছবিলা বেগম জানান, গত ৭ জুন শুক্রবার বিকেলে বাড়ির পাশের যমুনা নদীর ধারের চরা থেকে তার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নাতীন ছাগল আনতে যায়। সেখানে আগে থেকে উপস্থিত মমিন তাকে ফুসলিয়ে পাশের কাঁশবনে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বাড়ি ফিরতে দেরি দেখে মেয়েটির দাদি ফজিলা খাতুন ঘটনাস্থলে পৌছে তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যান।

অপরদিকে লম্পট মমিন তার আগমন টের পেয়ে বিবস্ত্র অবস্থায় দৌড়ে পালিয়ে যায়। ওই রাতেই বিষয়টি গ্রাম প্রধানদের জানালে তারা শালিশ বৈঠকের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। ফলে নিরুপায় হয়ে তারা থানায় মামলা দায়ের করে। এ ঘটনার পর থেকে মমিন ও তার বাবা মা পলাতক রয়েছে। এ ব্যাপারে মমিনের ফুপু নাহার খাতুন ও চাচা খালিদ হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা কিছু টাকা পয়সা দিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করছি।

আশাকরি ২/৩ দিনের মধ্যে এটা নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে কৈজুরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, আসামী পক্ষ আমার কাছে এসেছিল কিন্তু বাদী পক্ষ আসেনি। উভয়পক্ষ শালিশ বৈঠকে বসতে সম্মত হলে তাদের নিয়ে বসা হবে। এতে সমাধান না হলে আইন অনুযায়ী এর বিচার হবে। এ ব্যাপারে শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। আসামীকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রয়েছে। খুব শ্রীঘই ধর্ষককে গ্রেফতার করা হবে।