নিউজ ডেস্ক
আজ বুধবার সকাল পৌঁনে ১০টায় নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার সোনাপুর-রামগঞ্জ সড়কের ১১নং মুন্সির রাস্তার মাথা এলাকায় একটি যাত্রিবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে গেলে ৩ জন নিহত এবং অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে দুইজন হলেন- নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা মিরওয়ারিশপুরের লেদু মিয়ার পুত্র জাফর আহম্মদ (৪০) ও সোনাইমুড়ি উপজেলার নাওতলা গ্রামের জহিরুল ইসলামের পুত্র নূরুল আলম (৩৫)। অপর অজ্ঞাত নিহত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর।
আহতদের উদ্ধার করে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম জানান, নোয়াখালীর সোনাপুর থেকে জননী সার্ভিসের যাত্রিবাহী একটি বাস লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। চাটখিল বাজার পার হয়ে ১১নং মুন্সির রাস্তার মাথা এলাকায় পৌঁছালে, বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে পানিতে ডুবে যায়। এতে তিন যাত্রি নিহত হয়েছেন। তিনি আরো জানান, নিহতদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে বুধবার সকালে চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার বাগড়াবাজার লেবুতলা এলাকায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও বালুবাহী ট্রাকের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজি চালক ও একযাত্রী নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- সিএনজি অটোরিকশার চালক রফিক গাজী (৪০) এবং যাত্রী মোজাম্মেল (২৩)। সিএনজি অটোরিকশার চালক রফিক গাজী চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমপোয়া গ্রামের আব্দুল ওয়াহাবের পুত্র। অন্যদিকে, যাত্রী মোজাম্মেল পঞ্চগড় জেলার ফখিলাগার গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুত্র।
এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম উদ্দিন বলেন, বাগড়াবাজার এলাকায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও বালুবাহী ট্রাকের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজি চালক ও একযাত্রি নিহত হয়েছেন। খুব সকালে এ দুর্ঘটনা হওয়ায় বালুর ট্রাকটি আটক করা সম্ভব হয়নি। মৃতদেহগুলো ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
