নড়াইলের চিত্রা ও নবগঙ্গা নদীর প্রায় ৫০ কিঃমিঃ কচুরিপানা অপসারণ করা হবে

14
23

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলের চিত্রা ও নবগঙ্গা নদীর প্রায় ৫০ কিঃমিঃ কচুরিপানা অপসারণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। নড়াইল-২ আসনের এমপি ক্রিকেট তারকা মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন, জেলা প্রশাসন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় চিত্রা নদীর তীরে শহরের বাঁধাঘাট এলাকায় এ অপসারণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন নড়াইল জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী মাহবুবুর রশীদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাহানেওয়াজ তালুকদার, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আহসান হাবীব, মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু, নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা কাজী হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, গ্রিন নড়াইল ও ক্লিন নড়াইল করতে একটি মাস্টার প্লান করা হয়েছে এবং সেজন্য কাজও শুরু হয়েছে। শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া চিত্রা নদীর তীরে ওয়াক ওয়ে নির্মান করতে একটি প্রস্তাব মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি এ প্রস্তাব খুব দ্রুত পাশ হবে। এজন্য বিভিন্ন নদী, খাল ও রাস্তাঘাট দখলমুক্ত করা প্রয়োজন। এজন্য তিনি গনমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন। উল্লেখ্য, কচুরিপানা অপসারণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে নড়াইল-২ আসনের এমপি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় অনুষ্ঠানস্থলে আসতে পারেননি।

জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে নড়াইলের চিত্রা ও নবগঙ্গা নদীর দীর্ঘ প্রায় ৫০ কিঃমিঃ বছরের প্রায় অর্ধেক সময় ধরে কচুরিপানা জমে থাকে। এর ফলে নদী পাড়ের মানুষদের এপার-ওপার এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত করতে কষ্ট হয় এবং সময় নষ্ট হয়। জেলেরাও মাছ ধরতে পারেনা। বিভিন্ন সময় স্থানীয় মাঝি ও জেলেরা উদ্যোগ নিয়ে কচুরিপানা অপসারণের চেষ্টা করলেও পরে যা তাই হয়ে যায়। বর্তমান এ উদ্যোগের ফলে নড়াইলের আপামর জনসাধারণ উপকৃত হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ কচুরিপানা অপসারণ করতে প্রায় লাখ টাকা করচ হবে এবং এর জন্য প্রায় ২০ দিন প্রয়োজন। এ কাজে ৭টি নৌকা এবং ১২জন জেলে সার্বক্ষনিক কাজ করছে। রতডাঙ্গা গ্রামের জেলে উজ্জল সরকার ও উত্তম সরকার বলেন, নদীর ভাটার সময় আস্তে আস্তে এ কচুরিপানা খুলনার রুপসা নদীতে পাঠানো সম্ভব হলে লোনা পানির কারনে এ কচুরিপানা মরে যাবে।