কালিয়ায় কলেজ অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত, থানায় মামলা দায়ের

0
65

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলের কালিয়ায় হাবিবুল আলম বীরপ্রতীক কলেজের নতুন পরিচালনা পরিষদ গঠনের জন্য নির্বাচনী তফশীল ঘোষণ করায় এডহক কমিটির সাবেক সভাপতি ইমরানুল হক মিশা ও তার অনুগতদের নিয়ে অধ্যক্ষকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ উঠে, বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারী) সকালে কলেজ অভ্যন্তরে অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিতের এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। আর এই ঘটনায় কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ মো. আবু রেজা মোল্যা বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে এডহক কমিটির সাবেক সভাপতি মো.ইমরানুল হক মিশাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে কালিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পেড়লীতে অবস্থিত হাবিবুল আলম বীরপ্রতীক কলেজের পরিচালনা পরিষদ দীর্ঘদিন ধরে এডহক কমিটি দিয়েই চলছিল। চলতি বছরের প্রথম দিকে মো. ইমরানুল হক মিশাকে সভাপতি করে এডহক কমিটি গঠিত হয়। ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রাক্কালে গত বছর ৯ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কলেজের নতুন পরিচালনা পরিষদ গঠনের জন্য নির্বাচনী তফশীল ঘোষণা করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণ বিধি লঙ্ঘিত হতে পারার কারণে সে সময় নির্বাচনটি স্থগিত করেন জেলা প্রশাসক।

পরবর্তীতে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলে কলেজ কতৃপক্ষ আগামী ১০ ফেব্রুয়ারী পরিচলনা পরিষদের সদস্যদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন। কিন্তু আগের মত এডহক কমিটি গঠন না করে সরাসরি নির্বাচনের তফশীল ঘোষণা করায় ভূতপূর্ব কমিটির সভাপতি মিশা মোল্যা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে মিশা মোল্যা দলবলে তার অনুগতদের নিয়ে কলেজে গিয়ে অধ্যক্ষকে তাকে কেনো পুনরায় এডহক কমিটির সভাপতি না করে সরাসরি নির্বাচনের জন্য তফশিল ঘোষণা করা হয়েছে জানতে চায়?

এসময় অধ্যক্ষকে একটি কক্ষে আটকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করাসহ নতুন পরিচালনা পরিষদের সদস্য নির্বাচন বন্ধ না করলে তার পা ভেঙ্গে দেয়ার হুমকি দেয়। একই সঙ্গে কলেজের সাদা প্যাডে অধ্যক্ষকে দিয়ে জোর করিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

ওই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে অধ্যক্ষ মো.আবু রেজা মোল্যা বাদি হয়ে মো.ইমরানুল হক মিশাসহ ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামী করে কালিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

কালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আনোয়ার হোসেন বলেন,‘অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। কেউ গ্রেফতকার হয়নি। তবে আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত আছে।’