প্রশ্নপত্র ফাঁসে শিক্ষার্থী জড়িত থাকলে দায় অভিভাবকের!

4
6

নিউজ ডেস্ক

আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ২০১৯ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা। পরীক্ষা সুশৃঙ্খল করতে এরইমধ্যে নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রতারক চক্রকে ধরতে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সোচ্চার হয়েছে শিক্ষাবোর্ডগুলোও। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বরাতে জানা যায়, প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত তৎপরতায় কোন শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্ট থাকার প্রমাণ মিললে সেই শিক্ষার্থীর পাশাপাশি তার অভিভাবককেও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

বিগত সময়ে সরকারের নানা পদক্ষেপে প্রশ্নপত্র ফাঁস এখন কেবল গুঞ্জন। গৃহীত নানা পদক্ষেপের কারণে প্রশ্নপত্র ফাঁস একটি গুজবে পরিণত হয়েছে। বোর্ড প্রশ্নের নামে বানোয়াট, সাজেশন নির্ভর প্রশ্নপত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের ধোঁকা দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে একধরণের প্রতারক চক্র। শিক্ষাখাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোনভাবেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার সুযোগ নেই। ফলে প্রশ্নপত্র পাওয়ার আশায় বৃথা সময় অপচয় না করার জন্য শিক্ষার্থীদের সতর্ক করেছেন। এমনকি এ বিষয়ে অভিভাবকদেরও সজাগ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, আসন্ন এসএসসি পরীক্ষায় একাধিক প্রশ্নপত্র ও ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহারের কারণে কোনভাবেই পরীক্ষা শুরুর পূর্ব মুহূর্তেও সঠিক প্রশ্নপত্র নির্ধারণ করা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। কাজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাপ্ত প্রশ্নপত্র অবশ্যই প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত তৎপরতা থেকে বিরত থাকতে অভিভাবকদেরও সাবধান করা হচ্ছে। পাশাপাশি নিজের সন্তান যাতে প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী গ্রুপ/পেজের সঙ্গে জড়িত থেকে শাস্তির আওতায় না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য অভিভাবকদের সচেতন করা হচ্ছে। কেননা প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত তৎপরতায় যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কারো সন্তানের সংশ্লিষ্টতা পায় তবে ওই সন্তানের পাশাপাশি তার অভিভাবকেও আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান।

এদিকে, প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে আসন্ন মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা থেকে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল কাগজে বাঁধিয়ে প্রশ্নপত্র পাঠানো, উপকেন্দ্র (ভেন্যু কেন্দ্র) একেবারে কমিয়ে দেওয়া, পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তন করাসহ একগুচ্ছ নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। একইসঙ্গে পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নপত্রের কোন সেটে পরীক্ষা হবে, তা লটারি করে ঠিক করাসহ পুরনো সিদ্ধান্তগুলোও কঠোরভাবে মানা হবে। ফলে প্রশ্নপত্র ফাঁস গুঞ্জনে কান দিয়ে নিজের ভবিষ্যত নষ্ট না করার জন্য শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।