টেস্টে বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় জয়

8
8

টেস্টে বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় জয়

স্পোর্টস ডেস্ক

নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে ঢাকা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ইনিংস ও ১৮৪ রানের ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মত ইনিংস ব্যবধানে জয়ের স্বাদ নিলো বাংলাদেশ। এই জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয়বারের মত হোয়াইটওয়াশ করলো স্বাগতিক বাংলাদেশ। এর আগে ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দুই ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছিলো সফরকারী বাংলাদেশ।

মাহমুদুল্লাহর সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৫০৮ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে দ্বিতীয় দিনে ৭৫ রানের মধ্যেই ক্যারিবীইয়ান ব্যাটসম্যানরা ৫ উইকেট হারায়। তৃতীয় দিনে ১১১ রানে শেষ হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। মিরাজ বাংলাদেশের পক্ষে ৫৮ রানে ৭ উইকেট লাভ করেন। ইনিংসে এটি তার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং। এছাড়া সাকিব ২৭ রানে ৩ উইকেট নেন। ১১১ রানে অলআউট হয়ে ফলো-অনে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবার ২৯ রানে ৪ উইকেট হারায় তারা। ৯৬ রানে ৬ উইকেট হারানোয় প্রথম ইনিংসের মত দ্রুত গুটিয়ে যাবার শংকায় পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এগিয়ে নিয়ে যান হেটমায়ার (৯৩)। ৯টি ছক্কা ও একটি চার মেরে দলের পরাজয়ের ব্যবধান কমান তিনি। দলীয় ১৬৬ রানে ৮ম ব্যাটসম্যান হিসেবে হেটমায়ারের বিদায়ের পর জোমেল ওয়ারিকানকে আউট করে এই ইনিংসেও নিজের পাঁচ উইকেট লাভ করেন মিরাজ। কিন্তু শেষ উইকেটে জুটিতে দশম উইকেটে ৪২ রান যোগ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হারের ব্যবধান কমান রোচ ও লুইস। লুইসকে এলবিডব্লু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেষ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে অবিস্মরণীয় জয়ের স্বাদ পাইয়ে দেন তাইজুল। ২১৩ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

এই ইনিংসে ৫৯ রানে ৫ উইকেট নেন মিরাজ। ফলে ম্যাচে তার উইকেট শিকার দাড়ালো ১১৭ রানে ১২ উইকেট যা তার ক্যারিয়ারের সেরা ম্যাচ বোলিং ফিগার। এছাড়া তাইজুল ৩টি, সাকিব ও নাইম ১টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন- মিরাজ ও সিরিজ সেরা হন- সাকিব। টেস্ট সিরিজ শেষে ৯ ডিসেম্বর থেকে এবার তিন ম্যাচের ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যা শুরু হবে

স্কোর কার্ড