স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের কালিয়ায় সাংবাদিককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে ক্যামেরা সহ মালামাল ছিনতাইয়ের ঘটনায় ১০ বালু সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে কালিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় সাংবাদিক শেখ ফসিয়ার রহমান তার স্ত্রীর মাধ্যমে সোমবার বিকালে লিখিত অভিযোগ থানায় প্রেরন করলে পুলিশ ওইদিন রাতে মামলাটি নথিভুক্ত করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে গত তিন দিনেও পুলিশ হামলাকারিদের গ্রেফতার বা সাংবাদিকের ক্যামেরাসহ ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি বলে জানা গেছে।
মামলার বিবরনে জানা যায়, দৈনিক খবরের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি ফসিয়ার রহমান গত ১২ আগষ্ট দুপুর ১২ টার দিকে তিনি উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের প্রশান্ত কুমার দাশকে সাথে নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে উপজেলার শুক্তগ্রামে নবগঙ্গা নদীর ভাঙ্গন ও ভাঙ্গনের অদুরে নাওরা নামক স্থান থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের তথ্য ও ছবি সংগ্রহের জন্য ঘটনা স্থলে যান। সেখানে গিয়ে তিনি শুক্তগ্রাম নদী ভাঙ্গন এলাকার পূর্ব পাড়ে নদীতে ৩-৪টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নবগঙ্গা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করতে গেলে বালু সন্ত্রাসী অনির্বাণ ঘোষ, জান্নাত, মিশকাত, বালা, বাল্লকী রহিম ও দেলবার থান্দারসহ অন্যরা তাকে ছবি তুলতে নিষেধ করে এবং ছবি তুললে ভাল হবেনা বলে হুমকি দেয়। ওই সাংবাদিক তাদের বাধা ও হুমকি উপেক্ষা করে অবৈধ বালু উত্তোলনের ছবি তোলার কারণে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। ছবি ও তথ্য সংগ্রহের পর তিনি বাড়ির ফেরার পথে দুপুর সোয়া ১ টার দিকে বড়কালিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে সরকারি রাস্তার ওপর পৌছালে ওৎ পেতে থাকা বালু সন্ত্রাসীরা তার মোটর সাইকেলের থামিয়ে তাকেসহ তার সঙ্গীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে ছবিসহ ক্যামেরা, নগদ টাকা ও মালামাল ছিনতাই করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। বালু সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত ওই সাংবাদিক বাদি হয়ে উপজেলার বাহিরডাঙ্গা গ্রামের মৃত শংকর ঘোষের ছেলে অনির্বাণ ঘোষ ওরফে ছনু, মোতালেব খানের ছেলে রহিম খাঁন, হাড়িডাঙ্গা গ্রামের মোশারেফ ব্যাপারির ছেলে বালা ব্যাপারী, হোসেন থান্দারের ছেলে মিশকাত থান্দার, কাসেম থান্দারের ছেলে হোসেন থান্দার ও মির্জাপুর গ্রামের আলী আহম্মেদের ছেলে তাজিমুর রহমান তাজুসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অঞ্জাতনামা ৭ জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেছেন। কালিয়া থানার পরিদর্শক তদন্ত ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ একরাম হোসেন বলেছেন, মামলার তদন্তসহ আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।