নড়াইলের বিছালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

17
90

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান এম আনিসুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ইউনিয়নের নয়জন সদস্য গত ২ জুলাই জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নড়াইলের বিছালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম আনিসুল ইসলাম সরকারের বিভিন্ন প্রকার উন্নয়ন কাজ না করেই টাকা আত্মসাত করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে-এলজিএসপি, টিআর, কাবিখা, বয়স্কভাতা বিধবাভাতাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা। ইউপি সদস্যরা জানান, ইউনিয়ন সচিবের যোগসাজসে চেয়ারম্যান বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাত করেছেন।

২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পাঁচ লাখ টাকার প্রকল্প হিসাবে বিছালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আড়পাড়া মফিজের বাড়ি হতে মিসকাতের বাড়ি অভিমুখে রাস্তা ইটের ফ্লাট সলিং নির্মাণ কাজ করা হয়েছে বলে ইউনিয়ন পরিষদের কাজের তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ রাস্তার কাজ অন্য প্রকল্পের মাধ্যমে জেলা পরিষদ শেষ করেছে। একই ভাবে ২নং ওয়ার্ডের মির্জাপুর তপন বাবুর বাড়ি থেকে অনিমেষের বাড়ি এলাকার রাস্তা, ৪নং ওয়ার্ডের চাকই আজিবর মল্লিকের বাড়ি থেকে হালিম মল্লিকের বাড়ি এলাকার রাস্তা ইটের ফ্লাট সলিং নির্মাণসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তা জেলা পরিষদ টেন্ডারের মাধ্যমে শেষ করেছে। অথচ চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে এসব রাস্তার কাজ সম্পন্ন দেখিয়েছেন। এ ব্যাপারে ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শেখ আজিম বলেন, মির্জাপুর তপন বাবুর বাড়ি থেকে অনিমেষের বাড়ি এলাকার রাস্তা জেলা পরিষদ করেছে। তার ওয়ার্ডে তার ইউনিয়নের কোন কাজ হয় নাই। একই ভাবে ৫নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য মোঃ মজুর আকন, ৪নং ওর্যাডের ইউপি সদস্য আফিজুর রহমান বলেন, শুনেছি তাদের ওর্য়াডে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বিভিন্ন রাস্তা করেছে। তবে আমাদের জানা মতে সব রাস্তাগুলি জেলা পরিষদ করেছে বরে আমরা জানি। এ ব্যাপারে বিছালী ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে; তা ঠিক নয়। রাস্তাগুলি আমি ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে করেছি। নড়াইল স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, এসব অভিযোগের ভিত্তিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসক এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।