কালিয়ায় প্রেমিকার লাশ উদ্ধার, প্রেমিক নিখোঁজ

454
45

স্টাফ রিপোর্টার

পুতুল খেলার বয়সে প্রেম নিয়ে খেলতে গিয়ে নড়াইলের কালিয়ায় কিশোর প্রেমের বলি হতে হয়েছে রোজিনা (১৩) নামে এক স্কুল ছাত্রীর। মঙ্গলবার সকালে ওই স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কিন্তু এর আগে প্রেমিকার বাড়িতে আটক হওয়া প্রেমিক আজিম বিশ্বাস নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে। সোমবার রাতে উপজেরার জামরিরডাঙ্গা গ্রামে ঘটেছে ওই হৃদয় বিদারক ঘটনা। ওই ঘটনায় কালিয়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ওই স্কুল ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনাটিকে রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কালিয়া উপজেলার খড়রিয়া জেএপি মাধ্যমিক বিদ্যারয়ের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী জামরিলডাঙ্গা গ্রামের আকিবর মল্লিকের মেয়ে রোজিনার সাথে ওই গ্রামের হেফজুর বিশ্বাসের ছেলে একই বিদ্যারয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র আজিম বিশ্বাসের কিশোর প্রেম চলে আসছিল। এরই মধ্যে গত ২৭ মে রাতে প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গিয়ে রোজিনার বাড়ির লোকজনের কাছে আজিম ধরা পড়লে তাকে তারা আটক করে রাখে।

পরদিন সোমবার ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে আজিম কৌশলে প্রেমিকার বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় এবং এর কিছু সময় পর রোজিনাও বাড়ি থেকে নিখোজ হয়। তাকে খুজে পাওয়া না গেলেও মঙ্গলবার সকালে গ্রামের রাস্তার পাশে একটি কচা গাছে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মৃতদেহ ঝুলতে দেখে তার স্বজনরা পুলিশে খবর দিলে কালিয়া থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়না দতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। অপর দিকে রোজিনার লাশের খবর পেয়ে তার স্বজনরা প্রেমিক আজিমের বাবাকে বাড়ি থেকে আটক করে রাখলে পলিশ তাকে জিঞ্জাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে রেখেছে। রোজিনার তকিবর মল্লিক বাদি হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। আজিমের বাবা হেফজুর বিশ্বাসের ছেলের প্রেমের সত্যতা স্মীকার করে বলেছেন, রোজিনাদের বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার আজিমের কোন সন্ধ্যান তিনি পাননি। রোজিনার চাচাতো ভাই মিলন মল্লিক আজিমকে আটকের সত্যতা স্মীকার করে বলেছেন, তারা যখন ঘটনাটি মিমাংশার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন তখন আমিজ পালিয়ে যায়। এবং রোজিনাও নিখোজ হয়। কালিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ একরাম হোসেন রোজিনার মৃত্যুকে রহস্যজনক বলে দাবি করে বলেছেন, ওই স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রোজিনার স্বজনদের হাতে আটক আজিমের বাবা হেফজুরকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাকে জিঞ্জাসাবাদের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।