নতুন প্রজন্মের মাঝে সংস্কৃতির প্রসার চান রাষ্ট্রপতি

14
18

ডেস্ক রিপোর্ট

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ শিশু, কিশোর ও যুবকদের কুসংস্কার, সাম্প্রদায়িকতা, মাদক, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে রাখতে মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। রাষ্ট্রপতি আজ (সোমবার) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে শিল্পকলা পদক-২০১৭ প্রদান উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য।

তিনি বলেছেন, “স্যাটেলাইট ক্লাবের গর্বিত সদস্য হওয়ার মাধ্যমে আমাদের টেলিযোগাযোগ, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, সম্প্রচার কাযর্ক্রমসহ মহাকাশ গবেষণার বিশাল ক্ষেত্র উন্মোচিত হয়েছে। এই সুযোগ ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে।”

রাষ্ট্রপতি বলেন, নতুন প্রজন্মকে এ কথা জানাতে হবে যে, আমাদের জন্মভূমিতে সাম্প্রদায়িকতার কোন স্থান নেই। তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড তরুণ প্রজন্মের মাঝে দেশপ্রেম, শৃংখলা ও জাতীয়তার চেতনা বিকাশে সহায়তা করবে। নিজস্ব স্যাটেলাইটের সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশি সংস্কৃতিকে বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

রাষ্ট্রপতি বলেন, তার দৃঢ় বিশ্বাস যে, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড আগামী প্রজন্মকে আধুনিক, সংস্কৃতিমনা ও সৃষ্টিশীল হিসেবে গড়ে তুলতে খুবই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শিল্পী সমাজের অবদানের কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির প্রয়োজন ও সংকটের সময় সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড সাহসী ভূমিকা পালন করে আসছে।

রাষ্ট্রপতি পদকপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আপনারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আজ শিল্পকলা পদকে ভূষিত হলেন। আমি আশা করি, এই পুরস্কার আপনাদের নিজ নিজ অঙ্গনে আরো অবদান রাখতে উৎসাহিত করবে।

রাষ্ট্রপতি ৭ বিশিষ্ট শিল্পীর হাতে শিল্পকলা পদক তুলে দেন। পদকপ্রাপ্তরা হলেনঃ যন্ত্র সঙ্গীতে আলাউদ্দিন মিয়া, নৃত্যে শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায়, ফটোগ্রাফিতে নাসির আলী মামুন, চারুকলায় চন্দ্র শেখর দে, লোকসঙ্গীতে কাঙ্গালিনী সুফিয়া বেগম, নাট্যকলায় এস এম মহসিন ও সঙ্গীতে মিহির লালা। প্রতি পদকের সঙ্গে রয়েছে ১ লাখ টাকার চেক, সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি, সংস্কৃতি সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ও পদক গ্রহণকারী মিহির লালা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।