নড়াইলে সুন্দরী বালা মেম্বারের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

0
30
নড়াইলে অগ্নিকান্ডে

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলের মুলিয়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত মেম্বার সুন্দরী বালার খুটির জোর কোথায়? সুন্দরী বালা বাগচী ‘নড়াইল সদর উপজেলার ১৩ নং মুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য। তার বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা ও পুরুষসহ ১০ জন সদস্য স্বেচ্ছাচারিতা’র অভিযোগ এনে দ্রুত ইউপি সদস্যের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনন্দ সরকার, ২নং ওয়ার্ডের সদস্য বিপুল কুমার বিশ্বাস,৩নং ওয়ার্ডের সদস্য নিতাই কুমার বর্মন, ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য চিন্ময় বিশ্বাস, ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মহেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য অজিত কবিরাজ, ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য নীলকান্ত মোহন্ত, ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য চিত্ত শিকদার, ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য মিহির গাইন, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য চারুবালা বিশ্বাস, ৭,৮ ও ৯ নং সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের সদস্য সুন্দরী বালা বাগচীর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে অনাস্থা জানিয়ে নড়াইল জেলা প্রশাসক, উপ-পরিচালক,নড়াইলের স্থানীয় সরকার বিভাগ, নড়াইল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও চেয়ারম্যান ১৩ নং মুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে এ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে জানা যায়, নড়াইল সদর উপজেলার ১৩ নং মুলিয়া ইউনিয়নের ৭,৮ ও ৯ নং সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের সদস্য সুন্দরী বালা বাগচী সব সময় পরিষদের পুরুষ সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে স্বেচ্ছাচারিতা ও বিভিন্ন অঙ্গ ভঙ্গিতে কথাবার্তা ও গালমন্দসহ সব সময় বাজে ভাষা ব্যবহার করে আসছে । মনে হয় সুন্দরী বালা বাগচী ছাড়া পরিষদে আর কোন ইউপি সদস্য নাই। প্রতিপক্ষ সদস্যরা কিছু বলতে গেলেই তাদের নামে ধর্ষণ মামলা দেয়ার হুমকি দেয়। এর আগেও মুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ অধিকারীর ছেলে শেখর অধিকারী ও ইউপি সদস্য নীলকান্ত মহন্তসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে সুন্দরী বালা বাগচী মিথ্যা ধর্ষণ,চাঁদাবাজি ও অস্ত্র মামলা দিয়ে সম্মানহানি করার চেষ্টা করেছে বলে তাদের অভিযোগে উল্লেখ করেছেন। বিজ্ঞ আদালত ওই মিথ্যা মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। এদিকে,গত বছর মন্দির সংস্কারের কথা বলে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা (এমপির) নিকট থেকে মন্দির সংস্কারের জন্য ৫০ হাজার টাকা অনুদান এনেও কোন কাজ করেননি। এমন কি, মন্দির কমিটিকে কোন টাকা হস্তান্তর করেননি ।

এ বিষয় মুলিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্যদের নিকট জানতে চাইলে তারা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন,‘আমরা ইউনিয়ন পরিষদে গেলে বোকার মত দাঁড়িয়ে থাকি। সব সময় আমাদের সঙ্গে বাজে ভাষায় কথা বলে, গালাগালি করে। প্রতিবাদ করলেই ধর্ষণ মামলার হুমকি দেয়। ওই মহিলা মেম্বারের হাত থেকে বাঁচতে ইউনিয়ন পরিষদের ১০ জন মেম্বার বিভিন্ন দফতরে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সুন্দরী বালা বাগচীর অপসারণের দাবিতে অভিযোগ দায়ের করেছি। সুন্দরী বালা বাগচী’র বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন পূর্বক তাকে অব্যাহতি দেয়ার জোর দাবি জানাই।’

এ বিষয়ে মুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ অধিকারী সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার সুন্দরী বালা বাগচীর বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘পরিষদের মেম্বারদের সঙ্গে সুন্দরী বালা সব সময় খারাপ আচারণসহ পুরুষ মেম্বারদের মারধোর পর্যন্ত করতে উদ্দত হয়। আমি এ বিষয়ে সুন্দরী বালাকে সকলের সঙ্গে মিলে মিসে থাকার কথা বল্লেও আমার কথা কর্ণপাত করেননি। তিনি সাফ আমাকে জানিয়ে দেন- তার মেম্বারী না থাকলেও সে অন্যান্য মেম্বারদের সঙ্গে আপোষ করে চলতে পারবে না।’

অভিযুক্ত সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য সুন্দরী বালা বাগচী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,‘আমার বিরুদ্ধে মেম্বাররা ষড়যন্ত করছে। তবে মন্দির সংস্কারের ৫০ হাজার টাকার কথা স্বীকার করে বলেন, মন্দিরের কাজ করার জন্য ইট,বালু এনেছি। অতি শিগগির কাজ শুরু করা হবে।’