কালিয়ায় চাঁচুড়ী বাজার খালের জায়গা থেকে নেতাদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ!

0
8
কালিয়ায় চাঁচুড়ী বাজার খালের জায়গা থেকে নেতাদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ!
কালিয়ায় চাঁচুড়ী বাজার খালের জায়গা থেকে নেতাদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ!

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ী বাজার উত্তর পাশ সংলগ্ন কৃষ্ণপুর-কদমতলা খালের খাসখতিয়ানের জায়গা ভরাট করে নির্মাণ করা বহুতল ভবনসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল থেকে শুরু করে সারাদিন সেখানে এক্সকাভেটর দিয়ে এসব স্থাপন উচ্ছেদ করা হয়।

উচ্ছেদ অভিযানে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভিপি শাখা) মোঃ আনিসুর রহমানসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অবৈধ দখলের কারণে খালের স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে ক্রমান্বয়ে খালটি মরে যাচ্ছিল। এলাকার কৃষকের সেচ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চাঁচুড়ী বাজার সংলগ্ন ৩০ নম্বর কৃষ্ণপুর মৌজার ১নং খাস খতিয়ানের ৩৪৩৭ দাগে সরকারি খালের জমি দীর্ঘদিন অবৈধভাবে দখল ও স্থাপনা নির্মাণ করে রেখেছিলেন আ’লীগ নেতা ও কালিয়া উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা,চাঁচুড়ী ইউনিয়নের যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌরুত মোল্যা,চাঁচুড়ী পুরুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সাবেক বিএনপি নেতা আশরাফুল ইসলামসহ ১০ জন দখলদার। তারা খালটির দক্ষিণ পাড় অবৈধ দখল করে বহুতল ভবনসহ দোকানপাট গড়ে তুলেছেন। এতে খালটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছিল। পানিপ্রবাহ ও নৌযান চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। এ নিয়ে দৈনিক যুগান্তরসহ কয়েকটি পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পাউবো ও স্থানীয় প্রশাসন তদন্ত করে বিষয়টির সত্যতা পায়। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরেজমিন পরিমাপ করে স্থাপনার সঠিক অবস্থান নির্ণয় করে এই অবৈধ দখল ও স্থাপনা সরিয়ে নিতে দখলদারকে বার বার নোটিশের মাধ্যমে নির্দেশনা দেওয়া হয়। অবশেষে মঙ্গলবার ১০ জন দখলদারের ১৪ টি স্থাপনার বিভিন্ন অংশ ভাঙ্গা হচ্ছে।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আনিসুর রহমান বলেন,‘চাঁচুড়ী বাজার সংলগ্ন ১ নম্বর খাস খতিয়ানের খালের ভেতরে অবৈধ স্থাপনা সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খাল ভরাট করে গড়ে ওঠা স্থায়ী-অস্থায়ী অবৈধভাবে স্থাপনা উচ্ছেদ করে খালটিকে আবার সচল করা হলো। অবৈধভাবে স্থাপনা সম্পূর্ণ উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’