নড়াইলে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে একাধিক বিয়ের অভিযোগ!

0
80

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে একাধিক নারীকে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে নাহিদ ফকির (৩২) বিরদ্ধে। প্রতারণা ও শারিরীক নির্যাতনের শিকার হয়ে তানিয়া সুলতানা নামে এক নারী তার স্বামী নাহিদসহ ৩জনকে আসামি করে নড়াইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছেন। নাহিদ নড়াইল সদর উপজেলার নয়নপুর গ্রামের মহিদ ফকিরের ছেলে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে,প্রতারক নাহিদ ঢাকার কোরবান আলীর মেয়ে সোনিয়া বেগমকে প্রথমে বিয়ে করেন। স্বামীর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পারায় প্রথম স্ত্রী সোনিয়া এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে ঢাকায় বাবার বাড়ি চলে যান। পরে নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর-রুখালী গ্রামের সাফারত শেখের মেয়ে জাহানারা খাতুন, বেদভিটা গ্রামের জলিল কাজির মেয়ে সাম্মী আক্তার রনি, মুলদাইড় গ্রামের উর্মিলা খাতুন, বাগডাঙ্গা গ্রামের জাফরের স্ত্রী আসমা বেগমকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন নাহিদ। সর্বশেষ সিংগা শোলপুর ইউনিয়নের শোভারঘোপ গ্রামের বাহাউদ্দিন বোড়ার মেয়ে তানিয়া সুলতানাকে বিয়ে করেন নাহিদ। স্ত্রীর মর্যাদা না পেয়ে এবং নির্যাতনের অভিযোগ এনে তানিয়া স্বামী নাহিদের বিরুদ্ধে নড়াইল সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ ছাড়া বাঁশগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে নাহিদের একাধিক বিয়ের ব্যাপারে শালিস বসে। শালিস চলাকালে নাহিদ বিচার প্রার্থী স্ত্রী তানিয়াকে মারধর করে এবং তানিয়ার মাকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করেন। এ ঘটনায় তানিয়া ও তার মা অসুস্থ হয়ে পড়লে দু’জন সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। ঘটনা উল্লেখ করে তানিয়া সুলতানা বাদী হয়ে নাহিদের বিরুদ্ধে নড়াইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে নাহিদ ফকির জানান, স্ত্রী তানিয়া অগোচরে পরকীয়ায় জড়ানোর কারণে তাকে নিয়ে আমার সংসার করা সম্ভবপর হচ্ছিল না। আমার নামে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে মামলা করে হয়রানি করছে। একাধিক বিয়ের কথা সত্য নয়।