কালিয়ার সেই মুক্তিযোদ্ধার বসতঘর দখল মুক্ত করেছে পুলিশ

0
14
কালিয়া
কালিয়া, নড়াইল ম্যাপ

স্টাফ রিপোর্টার

জমা-জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে নড়াইলের কালিয়ার সেই মুক্তিযোদ্ধা এস এম মতিয়ার রহমানের বসতঘর দখল মুক্ত করেছে কালিয়া থানা পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে তালাখুলে দখল মুক্ত করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এর আগে ৩০ মার্চ বিরোধীরা তার বসত ঘরের তালা ভেঙ্গে দখল করে নিলে মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান গত ১০ এপ্রিল ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। মতিয়ার রহমান উপজেলার বিলধুড়িয়া গ্রামের মৃত মমিন উদ্দিন শেখের ছেলে।

অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, পক্ষাঘাত রোগে আক্রান্ত হয়ে মতিয়ার রহমান দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ্য থাকার সুযোগে প্রতিবেশী মো.শাহাজান শেখ একখন্ড জমি নিয়ে তার সাথে বিরোধ সৃষ্টি করে। একজন অসুস্থ্য ও অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তাকে একটি বীর নিবাস উপহার দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বীর নিবাস হস্তান্তর করলে মতিয়ার তার বসতঘরটি তালাবদ্ধ করে স্বপ্নের বীর নিবাসে চলে যান। সেই সুযোগটি হাতছাড়া করেনি শাহাজাহান ও তার সহযোগীরা। ৩০ মার্চ বিকাল ৫ টার দিকে শাহাজানের নেতৃত্বে ৫/৭ জন দূবৃত্ত মতিয়ারের তালাবদ্ধ বসত ঘরের তালা ভেঙ্গে মুক্তিযোদ্ধার বসতঘরটি দখল করে ঘরে থাকা মালামাল লুটে নেয়। ঘটনার সাথে ওই দিনই সন্ধ্যায় তিনি পাশর্^বর্তী বড়নাল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসির কাছে দখলদার উচ্ছেদসহ আইনী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার না পেয়ে ইউএনওর কাছে অভিযোগ করে। পরে তিনি অভিযোটি ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কালিয়া থানায় পাঠন। এরপর ১৫ দিন পর শুক্রবার দুপুর ২ টার দিকে কালিয়া থানার ওসির হস্তক্ষেপে জবর দখলকৃত বসতঘরটি দখল মুক্ত করে মতিয়ার রহমানের কাছে হস্তান্তর করেন।

মতিয়ার রহমান সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, তার বসতঘরটি অবৈধ দখল মুক্ত হওয়ায় তিনি আনন্দিত। ন্যায় বিচার পেয়ে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডকাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার শেখ নজরুল ইসলামসহ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা প্রশাসনের ভুমিকার প্রশংসা করেছেন।

কালিয়া থানার ওসি শেখ তাসমীম আলম বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধার বসতঘর জবর দখলের অভিযোগটি জানতে পেরে উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে বসতঘরটি দখল মুক্ত করা হয়েছে। একজন মুক্তিযোদ্ধার সমস্যার সমাধান করতে পেরে তিনি আনন্দিত।

কালিয়ার ইউএনও ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি রুনু সাহা বলেছেন, একজন মুক্তিযোদ্ধাকে আইনী সহায়তা দিয়ে তার অধিকার সংরক্ষণ করাই প্রশাসনের মূললক্ষ্য। অতি অল্প সময়ের মধ্যে পুলিশ তার সমস্যার সমাধান করায় তিনি পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।