শহীদ হারুনের প্রতীকী ভাস্কর্য ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি

0
4
শহীদ হারুনের প্রতিকী ভাস্কর্য ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি
শহীদ হারুনের প্রতিকী ভাস্কর্য ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

৬৯’র গণঅভ্যুত্থানে ১১দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে ময়মনসিংহের গৌরীপুর শহরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন গৌরীপুর কলেজের মেধাবী ছাত্র আজিজুল হক হারুন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ১৯৬৯ সালে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১দফা আন্দোলনের সময় ২৪ জানুয়ারী ঢাকা নবকুমার ইনস্টিটিউট এর ছাত্র মতিউর রহমান পুলিশের গুলিতে শহীদ হলে সারা দেশে ছাত্র আন্দোলনের নতুন মাত্রার যোগ হয়।

আর এই বিক্ষোভের জের ধরেই ১৯৬৯ সালের (২৭ জানুয়ারী) গৌরীপুর শহরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে গৌরীপুর কলেজ থেকে ছাত্ররা একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের মধ্যবাজারে আসা মাত্রই তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক এম.এ সামাদের নির্দেশে আন্দোলনরত ছাত্র মিছিলের উপর পুলিশ গুলি চালায়। ওই সময় পুলিশের গুলিতে শহীদ হন মেধাবী ছাত্র হারুন।

তাঁর স্মরণে শহীদ হারুন পার্কে অবস্থিত শহীদ হারুন স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন গৌরীপুর উপজেলা শাখা। শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ শেষে উদীচী কার্যালয়ে ‘৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান এবং শহীদ হারুনকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গৌরীপুর উপজেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি আলী হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন এর সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- উপজেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও ন্যাপ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন মাস্টার, সাবেক ছাত্র ইউনিয়ন নেতা ও সাংবাদিক সুপ্রিয় ধর বাচ্চু, উপজেলা কৃষক সমিতির সভাপতি মজিবুর রহমান ফকির, কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রিযাজুল হাসনাত, ক্ষেতমজুর সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ, কৃষক সমিতির সহ-সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী গৌরীপুর শাখা সংসদের সভপতি ওবায়দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আলী আশরাফ আবির প্রমুখ। সভায় গৌরীপুর উপজেলা ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সভাপতি আলী হোসেন দাবি জানান, শহিদ হারুনের প্রতিকী ভাস্কর্যের ও তার আত্মত্যাগের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির।