নড়াইলে সঙ্গীতা সুকন্যা ও রাফিয়া রশ্নির দায়িত্ব নিলেন জেমস

0
55
নড়াইলে সঙ্গীতা সুকন্যা ও রাফিয়া রশ্নির দায়িত্ব নিলেন জেমস
নড়াইলে সঙ্গীতা সুকন্যা ও রাফিয়া রশ্নির দায়িত্ব নিলেন জেমস

স্টাফ রিপোর্টার

সঙ্গীতা সুকন্যা ও রাফিয়া রশ্নির দায়িত্ব নিলেন নগর বাউলখ্যাত জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা মাহফুজ আনাম জেমস। তারা অকাল প্রয়াত গীতিকার বিশু শিকদারের দুই কন্যা। গত সোমবার ঢাকা থেকে সড়কপথে প্রথমবার নড়াইল আসেন জেমস।

লোহাগড়া উপজেলার ধোপাদহ গ্রামের গীতিকার বিশু শিকদারের বাড়িতে যান তিনি। এ সময় জেমস বিশু শিকদারের কবর জিয়ারত করেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পরিবারটিকে সার্বিক সহযোগিতা এবং বিশুর সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া সঙ্গীতা সুকন্যা ও দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া রাফিয়া রশ্নির সব দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। জেমসের সফরসঙ্গী হিসেবে ম্যানেজার রবিন ঠাকুরসহ নগর বাউলের শিল্পী ও কলা কৌশলীরা গীতিকারের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন।

বিশু শিকদারের স্ত্রী এ্যামেলি বেগম বলেন, জেমস ভাইয়ের সঙ্গে তার (বিশু) নিবিড় সম্পর্ক ছিল। দীর্ঘ দিন ধরে ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করেছেন। গত সপ্তাহে ও দুইটা নতুন গান ভাইকে দিয়ে আসছেন। তার এভাবে হঠাৎ চলে যাওয়া আমরা মেনে নিতে পারছি না। যে দিন আমার স্বামী মারা যান জেমস ভাই অনেকবার যোগাযোগ করেছেন, খোঁজ নিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, বড় মেয়েকে বলেছিলো আমাদের বাড়িতে আসবেন কিন্তু আমাদের বিশ্বাস হয়নি। ভাই আমার দুই মেয়ের সব দায়িত্ব নিয়েছেন। আমাদের পরিবারের যেকোনো ধরনের সমস্যায় পাশে থাকবেন বলেছেন। এত বড় একজন মানুষ আমাদের বাড়িতে বিপদের দিনে পাশে এসেছেন, আমি জেমস ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। বিশুর লেখা উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে ‘দুষ্টু ছেলের দল’, ‘বিজলী’, ‘যদি এই শীতে’, ‘আমি তোমাদেরই লোক’, ‘সেলাই দিদিমনি’, ‘অবশেষে জেনেছি’, ‘তুফান’ প্রভৃতি।

এদিকে গত শনিবার (২১ জানুয়ারি) বিকালে গীতিকার এসএম সেলিম শিকদার ওরফ বিশু শিকদার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। রোববার সকালে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

উল্লেখ্য, বিশু শিকদার মূলত জেমসের জন্যই গান লিখতেন। নগর বাউলের সহযোদ্ধাও ছিলেন তিনি। জেমস ও বিশু যৌথভাবেও অনেক গান রচনা করেছেন। জেমসের প্রকাশিত সর্বশেষ গান ‘আই লাভ ইউ’ যৌথভাবে লিখেছেন বিশু। ‘দুষ্টু ছেলের দল’ অ্যালবাম থেকে এই জুটির গীতিকবিতার সূত্রপাত হয়। এরপর জেমসের সব কয়টি অ্যালবামের বেশিরভাগ গানই বিশু শিকদারের লেখা।