নড়াইলের জেলা শিক্ষা অফিসারের সমাজের নিকট শিক্ষার ফেরিওয়ালা নামে খ্যাতি অর্জন

0
12
নড়াইলের জেলা শিক্ষা অফিসারের সমাজের নিকট শিক্ষার ফেরিওয়ালা নামে খ্যাতি অর্জন
নড়াইলের জেলা শিক্ষা অফিসারের সমাজের নিকট শিক্ষার ফেরিওয়ালা নামে খ্যাতি অর্জন

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলের জেলা শিক্ষা অফিসার এস, এম ছায়েদুর রহমান শিক্ষক সমাজের নিকট শিক্ষার ফেরিওয়ালা নামে খ্যাতি অর্জন করেছেন। নড়াইলের জেলা শিক্ষা অফিসার এস. এম. ছায়েদুর রহমান ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে এ জেলায় যোগদানের পর থেকে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন বলে জানা গেছে।

তিনি ছুটির দিনেও শিক্ষক ও শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন কাজ করে থাকেন। শিক্ষা সংক্রান্ত কাজের সুবিধার জন্য তিনি চাকরিস্থলে সপ্তাহের ৫ দিন অবস্থান করেন। এমনকি মাঝে মাঝে কাজের চাপ বুঝে সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও অবস্থান করেন। এখানে অবস্থান সময়ে তাকে শিক্ষকদের সেবা নিশ্চিত করতে কাক ডাকা ভোর এবং রাতেও অফিসে কাজ করতে দেখা যায় । নড়াইলের এমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নাই যেখানে তার পদচারণা পড়েনি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেয়ে তিনি নিজেকে হারিয়ে ফেলেন। সময় সময় তিনি বনে যান একজন শিক্ষার্থী, আবার কখনও কখনও বনে যান একজন আদর্শ শিক্ষক। তার আদর্শ চিত্তাকর্ষক ব্যক্তিত্ব থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তার পাঠদান প্রক্রিয়ায় মোহিত হয়ে যায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনকালে সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমস্যা নিয়ে আলাদা ভাবে কথা বলেন এবং স্থানীয়ভাবে সমাধান দিয়ে থাকেন। নড়াইলবাসী তাঁকে শিক্ষাবান্ধব ও শিক্ষার ফেরিওয়ালা খেতাবে সম্মানিত করেছেন। শিক্ষক সমাজের মধ্যে এক স্বস্তির নাম এস.এম. ছায়েদুর রহমান।

শেখহাটী তপনভাগ যুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অমর কুমার বাগচি বলেন, “একদিন একটা ডকুমেন্টস এ জেলা শিক্ষা অফিসার স্যারের সাইন করাতে হবে জানালে হেড স্যার বলেন স্যার ঢাকায় প্রশিক্ষনে আছেন। স্বাক্ষর করানো হবে না। হতাশ হলেও নিরুপায় হয়ে আমি স্যারকে ফোন করলাম, স্যার আমাকে অভয় দিয়ে বলেছিলেন যে, তিনি ঢাকা থেকে সরাসরি রাতের গাড়িতে বাড়ি যাবেন। একটু পর আবার জানান যে, আপনার কাজটা যেহেতু অতীব গুরুত্বপূর্ণ তাই তিনি নড়াইল হয়ে আমার কাগজে স্বাক্ষর করার পর সাতক্ষীরা যাবেন। স্যারের মানবিক কথা ও আচারনে আবেগে আমার চোখে জল চলে এসেছিল।” এছাড়া আফরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান যে, জীবনে অনেক জেলা শিক্ষা অফিসার দেখেছি, কিন্তু এমন সততা, নিষ্ঠা ও শিক্ষক দরদী মনোভাব সম্পন্ন অফিসার দেখিনি।

বিভিন্ন সময় সরজমিন তদন্তে অতি গোপনে জেলা শিক্ষা অফিসে খোজ নিয়ে জানা যায় প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের কোন ফাইল প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে তার সংগে কোনপ্রকার যোগাযোগ করা লাগে না। এমনকি কোন সমস্যা পরিলক্ষিত হলে তিনি সংশ্লিষ্টদেরকে ডেকে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন।