মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শহীদদের স্মরণ করে সুহৃদ সমাবেশের নড়াইল মুক্ত দিবস পালন

0
6
মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শহীদদের স্মরণ করে সুহৃদ সমাবেশের নড়াইল মুক্ত দিবস পালন
মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শহীদদের স্মরণ করে সুহৃদ সমাবেশের নড়াইল মুক্ত দিবস পালন

স্টাফ রিপোর্টার

মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শহীদদের স্মরণ করে ১০ ডিসেম্বর নড়াইল মুক্ত দিবস পালন করেছে দৈনিক সমকালের পাঠক সংগঠন সুহৃদ সমাবেশ। এদিন সন্ধ্যায় নড়াইল শহরের রূপগঞ্জ বাজারে পানি উন্নয়ন বোর্ড এর গনকবরে সুহৃদ সমাবেশের সদস্যরা এ আয়োজন করে। গণকবর চত্বরে ফুলের পাঁপড়ি ও আল্পনা করে হাজারো মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে ‘আগুনের পরশ মনি ছোঁয়াও প্রাণে’ গানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।

এ সময় দৈনিক সমকাল নড়াইল জেলা প্রতিনিধি শামীমূল ইসলাম টুলুর সভাপতিত্বে ৭১-এ পাকিস্তানি বাহিনী ও এদেশীয় রাজাকারদের বিভৎসতা ও গণত্যার স্মৃতিচারণ করেন মুক্তিযোদ্ধা নড়াইল থেকে প্রকাশিত দৈনিক ওশান পত্রিকার সম্পাদক আ্যাডভোকেট আলমগীর সিদ্দিকী, গণহত্যায় শহীদ পরিবারের সন্তান তরফদার সাজ্জাদ হোসেন টিপু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নড়াইলের সাধারণ সম্পাদক শরফুল আলম লিটু, সমকাল সুহৃদ সমাবেশ নড়াইলের সভাপতি প্রশান্ত সরকার, সাধারণ সম্পাদক চয়ন কুন্ডু, চিত্রা থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক ইমান আলী মিলন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কর্মকর্তা স্বপ্না, প্রলয় কীর্ত্তনীয়া, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, প্রমুখ। এ সময় নড়াইল জেলা ও নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ সুহৃদ সমস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০ জুলাই সদরের তুলারামপুর গ্রামের ৮জন মুক্তিযোদ্ধা এবং স্বাধীনতাকামী মানুষকে কুখ্যাত রাজাকার সোলায়মান মোল্যার নেতৃত্বে বর্তমান নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের মধ্যে (তৎকালীন ওয়াপদা) জীবন্ত কবর দেওয়া হয়। এছাড়া গোটা ৯মাস জুড়ে পাক হানাদার বাহিনী এবং স্থানীয়রা রাজাকাররা নড়াইলের প্রায় ৫ হাজার মানুষকে হত্যা করে। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও স্থানীয় রাজাকারদের পরাজিত করে নড়াইলকে শত্রুমুক্ত করেন বাংলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা। গোটা ৯মাস জুড়ে পাক হানাদার বাহিনী এবং স্থানীয়রা রাজাকাররা নড়াইলের প্রায় ৫ হাজার মানুষকে হত্যা করে।