কালিয়ায় নিজস্ব ঠিকানার দলিল পেল আড়াই’শ ভূমিহীন পরিবার

0
7
কালিয়ায় নিজস্ব ঠিকানার দলিল পেল আড়াই’শ ভূমিহীন পরিবার
কালিয়ায় নিজস্ব ঠিকানার দলিল পেল আড়াই’শ ভূমিহীন পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও ঘরহীনদের জন্য আবাসন ভবন নির্মাণ প্রকল্পের জমি ও ঘরের দলিল দেয়া হয়েছে। রোববার বিকালে উপজেলা পরিষদের হলরুমে নড়াইল ১ আসনের এমপি কবিরুল হক উপজেলার ২৫০টি পরিবারকে আবাসন প্রকল্পের জমি ও ঘরের দলিল তুলে দেন। এতে করে উপজেলার ২৫০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার তাদের নিজস্ব ঠিকানাসহ দলিল হাতে পেয়েছেন।

উপজেলা পরিষদের হলরুমে ইউএনও মো.আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে রোববার বিকাল ৪টায় অনুিষ্ঠত দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নড়াইল ১ আসনের এমপি বিএম কবিরুল হক মুক্তি। অনুষ্ঠানে তিনি তার অনুভূতির কথা ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন কেউ যাতে না থাকে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই ইতোমধ্যে যারা জমি ও ঘর পাননি তাদের জন্যও জমি ও ঘর নির্মাণে প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবয়ন অফিস সুত্রে জানা যায়, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ভবন নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে উপজেলার কালিয়া পৌরসভায় ২০টি, পুরুলিয়া ইউনিয়নে ৩২টি, হামিদপুর ইউনিয়নে ৫১টি, কলাবাড়িয়া ইউনিয়নে ১টি, পেড়লী ইউনিয়নে ৭টি, খাশিয়াল ইউনিয়নে ৩৯টি, মাউলী ইউনিয়নে ৫০টি, পাঁচগ্রাম ইউনিয়নে ১৪টি, চাঁচুড়ী ইউনিয়নে ১৮টি ও পহরডাঙ্গা ইউনিয়নে ১৮টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।অপরদিকে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে বরাদ্দ দেয়াসহ অনুষ্ঠানিক ভাবে তাদেরকে মালিকানর দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে।

কাঞ্চন বেগমের (৪০) পৈত্রিক বাড়ি কালিয়া পৌরসভার বড়কালিয়া গ্রামে। বিয়ের পিড়িতে বসলেও স্বামীর ঘর করা তার ভাগ্যে জোটেনি। প্রায় ১৫ বছর আগে স্বামী পরিত্যাক্ত হয়ে থাকতেন পৈত্রিক বাড়িতে। রাক্ষুসী নবগঙ্গা তার পৈত্রিক ভিটাটি কেড়ে নেয়ার পর তিনি ভূমিহীন ও ঘর হীন হয়ে পড়েন। একটি সন্তান নিয়ে থাকতেন অন্যের বাড়িতে। অবশেষে তার ঠাই হয়েছে উপজেলার নওয়াগ্রম আবাসন প্রকল্পে। গত ৪/৫ মাস আগে তার নামে এবটি আবাসনের ঘর বরাদ্দ দেয়ার পর তিনি সেখানে বসবাস করেছেন।