বাণিজ্যিক হারে খাজনা দিয়েছি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে ডোবা হিসাবে- প্রতিবাদে নড়াইলে মানববন্ধন

0
9
বাণিজ্যিক হারে খাজনা দিয়েছি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে ডোবা হিসাবে- প্রতিবাদে নড়াইলে মানববন্ধন
বাণিজ্যিক হারে খাজনা দিয়েছি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে ডোবা হিসাবে- প্রতিবাদে নড়াইলে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইল ফুলতলা এপ্রোচ রোড নির্মাণে গোরাবাজার ব্রীজ সংলগ্ন ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারদের ক্ষতিপূরণ দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় গোরাবাজার ও ব্রিজ সংলগ্ন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার এবং এলাকাবাসীর আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয। এ সময় বক্তব্য দেন সিংগা শৈলপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হোসেন আলী শেখ, সাংবাদিক শফিফুল ইসলাম শফিক, বিজয় রায়, রেজাউল করিম, জগদিদস মজুমদার, চাঁদ আলী, জালাল, নবীর আলী, অলিয়ার,সামছুর রহমান,ইমান আলী, মিনা বেগম, দিপালী বেগম ফাতেমা বেগম, নার্গিস বেগম প্রমুখ।

সাংবাদিক শফিফুল ইসলাম শফিক বলেন, আমাদের সাড়ে ১৮ শতক জমির উপর কয়েকটি দোকানঘর ও বসতবাড়ি রয়েছে। আমরা ২৫ বছর ধরে সরকারকে বানিজ্যিক হারে খাজনা পরিশোধ করে আসছি। অথচ আমাদের বাণিজ্যিক হারে ক্ষতিপুরণ দেওয়া হচ্ছেনা। এ বিষয়ে আমি মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি যাতে আমরা প্রকৃত পাওনা বুঝে পাই।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, নড়াইল-ফুলতলা সড়ক নির্মাণের ফলে গোবরা বাজারের প্রায় ৪০টি দোকান ও কয়েকটি বসতবাড়ি ভাঙ্গা পড়েছে। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে এসব দোকানে আমরা বিভিন্ন ধরণের ব্যবসা করে আসছি। বাণিজ্যিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে খাজনা দিয়ে আসছি। কিন্তু, সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ক্ষতিপূরণ না দিয়ে ডোবা, গর্ত, খাল এবং বাস্তুভিটা দেখানো হচ্ছে। এতে কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। অনেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর হারিয়ে পথে বসেছে। সরকারের কাছে আমাদের জোর দাবি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে যেন আমরা যথাযথ ক্ষতিপূরণ পাই।

এ বিষয়ে নড়াইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুজ্জমান বলেন,জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণের অর্র্থ জেলা প্রশাসনকে পরিশোধ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ ফকরুল হাসান বলেন, সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র দেখে ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকদের সাথে আলোচনা করে প্রকৃত প্রাপ্য অর্থ বুঝিয়ে দেওয়া হবে।