নড়াইলে আ’লীগ নেতা-কর্মীদের তালিকা তৈরি করে হু/মকি-ধ/মকি!

4
31
নির্বাচন
নির্বাচন

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলে সিঙ্গাশোলপুর ইউপি নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করায় আনোয়ার মোল্যা নামে এক ধান-পাট ব্যবসায়ীকে জ/খম করে সাড়ে ৪লাখ টাকা ছি/নিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি এখন যশোরের কুইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিকে এ ইউনিয়নে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বহিষ্কৃত ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি উজ্জ্বল শেখ ইউনিয়ন আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক, ওয়ার্ড আ’লীগ সাধারণ সম্পাদকসহ নৌকার পক্ষের ১৫জনকে দেখে নেওয়ার জন্য একটি তালিকা তৈরি করে তাদের হু/মকি-ধ/মকি দিচ্ছে।

সদরের সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের গোবরা গ্রামের বাসিন্দা আহত আনোয়ার মোল্লা (৫৮) জানান, শনিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে গোবরা বাজারে আমার দোকানে ধান বিক্রি করে ৪ লাখ টাকা ড্রয়ারে ঢোকানোর সময় উজ্জ্বলের নির্দেশে গোবরা গ্রামের নিউটন, আজিজুর, রিপন, রাজ্জাক, রবিউলসহ প্রায় ১০-১৫জন দোকানে প্রবেশ করে আমাকে জ/খম করে ও পি/টিয়ে পা ভে/ঙ্গে দিয়ে সাড়ে ৪লক্ষাধিক টাকা নিয়ে চলে যায়। তিনি বলেন, ইউপি নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করায় চেয়ারম্যান প্রার্থী উজ্জ্বল শেখ আমার কাছে ৫লাখ টাকা দাবি করে আসছিল।

উল্লেখ্য, এর আগে ইউপি নির্বাচনের ২দিন পর ১৪ নভেম্বর উজ্জ্বলের লোকজন সিঙ্গা বাজারের নৌকার সমর্থক ব্যাবসায়ী সানোয়ারের (৪০) দোকানে ঢুকে তাকে বে/ধড়/ক পে/টায়। পরের দিন হিন্দু অধ্যুষিত বড়গাতি গ্রামে প্রবেশ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে গা/লিগা/লাজ করে ও ভ/য়-ভী/তি দেখায়।

নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম হিটু বলেন, পরাজিত প্রার্থী উজ্জ্বল শেখ ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক পিযুষ বালা, ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলীসহ নৌকা প্রতিকে কাজ করায় ১৫জনকে দেখে নেওয়ার জন্য একটি তালিকা করেছে। তার এক নম্বরে ছিলেন গোবরা বাজারের সবচেয়ে বড়ো ব্যবসায়ী আনোয়ার মোল্যা। তাকে তার দোকান থেকে জ/খম করে সাড়ে ৪ লাখ টাকার বেশী ছি/নতাই করে নিয়ে গেছে। এদেরকে সে ও তার লোকজন হুম/কি-ধ/মকি দিয়ে যাচ্ছে। গোবরা ও নলদীর চর এলাকার কমপক্ষে ১০জন নৌকার কর্মী বাড়ি ছাড়া । এসব ঘটনায় গোবরা এলাকার ২জন ব্যক্তি ১০-১৫ দিন আগে সদর থানায় জিডিও করেছেন। এ ব্যাপারে প্রশাসন তেমন কোনো ভূমিকা নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন।

ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক পিযুষ বালা বলেন, আ’লীগ করতে গিয়ে ও নৌকার পক্ষে কাজ করতে গিয়ে গিয়ে আমাদের কারও হা/ত-পা থাকছে না। আমরা খুব অশান্তির মধ্যে আছি। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী উজ্জ্বল শেখকে মোবাইলে বার বার ফোন করলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বলেন, আনোয়ার মোল্যা আমাকে আগেই জানিয়েছিলেন, পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী উজ্জ্বল তাকে মা/রার জন্য হুম/কি দিচ্ছে এবং টাকা দাবি করেছিল।

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শওকত কবির বলেন, ২য় ধাপে ইউপি নির্বাচনের দু’দিন পর ১৪ নভেম্বর দু’পক্ষের সমর্থকদের নিয়ে সিঙ্গাশোলপুরে একটি শান্তি সমাবেশ করা হয়। আমরা চেষ্টা করছি আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি ঠিক রাখার। জ/খমের বিষয়টির সত্যতা জানালেও সাড়ে ৪লাখ টাকা ছি/নতাইয়ের বিষয়টি জানেন না বলে জানান। এখানে পুলিশের কোনো ধরনের অবহেলা নেই জানান। এ ঘটনায় এখনও মাম/লা হয়নি। মাম/লা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।