নড়াইলে গ্রাহকের দুই কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট খায়রুল বাশার

0
134
নড়াইলে গ্রাহকের দুই কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট খায়রুল বাশার
নড়াইলে গ্রাহকের দুই কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট খায়রুল বাশার

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলের কালিয়ায় গ্রাহকদের প্রায় দুই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে বেসরকারি ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট খায়রুল বাশার। উপজেলার চাচুড়ীতে অবস্থিত ওই ব্যাংকের এজেন্ট শাখায় ঘটেছে টাকা হাতিয়ে নেয়ার এ ঘটনা। সোমবার বিকালে ঘটনাটি জানাজানি হলে তালাবদ্ধ এজেন্ট ব্যাংকিং অফিসের সামনে গ্রাহকরা ভীড় জমাতে থাকে। খায়রুল বাশার উপজেলার ফুলদাহ গ্রামের ইমাদুল খানের ছেলে।

সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের কালিয়া উপজেলার চাচুড়ী শাখাটি ২০১৯ সালের মাঝামাঝির দিকে স্থাপন করা হয়। এজেন্ট খায়রুর বাশার জনপ্রতি ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা হারে জামানত নিয়ে শাখাটিতে ১০জন কর্মচারি নিয়োগ দেন। বর্তমানে শাখাটিতে ডিপিএস,মেয়াদি আমানত ও সঞ্চয়ী হিসাব মিলে প্রায় সহ¯্রাধিক গ্রাহক নিয়মিত লেনদেন করে থাকেন। এর মধ্যে বেশীরভাগই মেয়াদি আমানতের গ্রাহক রয়েছেন। প্রতি মাসে ২ হাজারেরও বেশী বিদ্যুৎ বিভাগের গ্রাহক বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে থাকেন। কিন্তু গত ৩ মাস যাবত বিদ্যুৎ গ্রাহকারা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের পরও বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকার নোটিশ পাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

অপরদিকে জানা গেছে, ওই ব্যাংকের নিয়মিত গ্রাহকরা গত বেশকিছু দিন যাবত তাদের হিসাব থেকে টাকা তুলতে পারছেন না। এছাড়া মাসিক মুনাফা হিসাবের গ্রাহকরা মুনাফার টাকা তুলতে না পারার কারণে গত এক সপ্তাহ যাবত এলাকায় এজেন্ট খায়রুল বাশারকে নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। সর্বশেষ সোমবার উপজেলার চাচুড়ী গ্রামের মফিজুল হক, পুরুরিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, ডহরচাচুড়ী গ্রামের পিটু বিশ্বাস টাকা তুলতে না পেরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে তাদের হিসাব নম্বরে কোন টাকা জমা নেই। গ্রাহকদের হিসাব নম্বর থেকে টাকা উধাও হওয়া ও বিদ্যুৎ বিলের টাকা জমা না করে হাতিয়ে নেয়ার ঘটনাটি ওই এলাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তারপর গ্রাহকরা সোমবার বিকালে ওই এজেন্ট অফিসে ভীড় জমাতে শুরু করে। ততক্ষণে প্রায় ৩কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে এজেন্ট খায়রুল বাশার পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে বলে ওই ব্যাংকের গ্রাহকরা অভিযোগ করেছেন।

যশোর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি ২ এর কালিয়া আঞ্চলিক অফিসের ডিজিএম মো. মমিনুর রহমান বিশ্বাস বলেন, ‘ওই এলাকার প্রায় ২ হাজার বিদ্যুত গ্রাহক ওই ব্যাংকে বিদ্যুৎ বিল নিয়মিত পরিষোধ করে থাকে। কিন্তু গত মার্চ,এপ্রিল ও মে মাসে ওইসব গ্রাহকদের নিকট থেকে বিদ্যুৎ বিল বাবদ প্রায় ৫লক্ষাধিক টাকা ওই এজেন্ট গ্রহন করলেও তা ব্যাংকে জমা দেননি।ওই সমস্ত গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। ঘটনাটি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’

কালিয়া থানার ওসি সেখ কনি মিয়া বলেন, ‘এ বিষয়টি শুনেছি। কেউ অভিযোগ করেননি। তারপরও বিষয়টি তদন্ত করছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’