নড়াইলে যৌতুকের অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা! বিচার চান স্ত্রী

11
66
নড়াইলে যৌতুকের অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা! বিচার চান স্ত্রী
নড়াইলে যৌতুকের অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা! বিচার চান স্ত্রী

হাফিজুল নিলু

নড়াইলে মোঃ হমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন স্ত্রী মোছাঃ মীম খাতুন। বৃহস্পতিবার নড়াইল বিজ্ঞ আমলী আদালত লোহাগড়ায় এ মামলা হয়েছে। হমায়ুন লোহাগড়া উপজেলার চাচই গ্রামের শরাফত আলীর ছেলে। মামলার শুনানীর জন্য আগামী ০৮/০৭/২০২১ ইং তারিখ ধার্য্য হয়। মামলার বিবরনে জানা যায়,গত ০৮/০৯/২০১৭ ইং তারিখে তারিখে আনুষ্ঠানিক ভাবে রেজিস্ট্রি বিবাহ সম্পন্ন হয়।

জানা যায়, বিবাহের কথাবার্তা যখন ঠিক হবে তখন কোন প্রকার যৌতুকের কথা না থাকলেও বিবাহের দিন মজলিশে বসে পাঁচ লক্ষ টাকা নগদ, ১২আনা ওজনের সোনার চেইন, আট আনা ওজনের আংটি, ঘর সাজানোর জন্য খাট পালং, ফ্রিজ, টিভি মোটরসাইকেল ইত্যাদি মিলাইয়া ১০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। না হলে বিবাহ করবে না।

মেয়ের পিতা মেয়ের সুখের জন্য জামাই হুমায়ুনকে একটি টাচ মোবাইল ফোন, ১২আনা ওজনের সোনার চেইন, ৮ আানা ওজনের আংটি, ৩ লক্ষ টাকা, ঘর সাজানোর জন্য একটি এলসিটি টিভি, একটি মাঝারি সাইজের ওয়লটন ফ্রিজ, পালংক, ডেসিং টেবিল, লেপ তোষক বালিশ দিয়ে বিবাহ দেয়। মেয়েকে তিন ভরি ওজনের সোনার একটি সীতাহার, ২ ভরি ওজনের একজোড়া সোনার বালা চুড়ি, ৬ আনা ওজনের একজোড়া কানের দুল, ভালো ভালো শাড়ি, দামি সুটকেস সহ অন্যান্য মালামাল মেয়ের পিতা উপহার দেয়।

বিবাহের পরে মেয়ের স্বামী হুমায়ুন মেয়েকে বাবার বাড়ি রেখে বিদেশে চলে যান। বিদেশ যাওয়ার পর স্ত্রী মিমের সাথে তেমন যোগাযোগ করেনা। খোরপোষ ও দেয়না। বিদেশে থেকে মেয়ের স্বামী হুমায়ুন আরও দুই লক্ষ টাকা দাবি করলে মীমের পিতা সেটা ও প্রদান করেন। ছেলে অশিক্ষিত হলেও শিক্ষিতের পরিচয় দিয়ে বিবাহ করে। আগে বিবাহ থাকা স্বত্তেয় সেই বিবাহের কথা অস্বীকার করে। বিবাহের পরে মীম স্বামীর আগের বিবাহের কথা জানতে পারে।

হুমায়ুন বিদেশ থেকে ০৭.০৫.২০২১ ইং তারিখে দেশে চলে আসে। এসে মীমের কাছে আবারও পুনরায় ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে। মীম যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করিলে মিমকে বেধ/ড়ক মা/রপিট করে। গলা চেপো ধরে শ্বা/সরো/ধ করে হ/ত্যার চেষ্টা করে।

মীমের পিতা মাহমুদুর রহমান বিশ্বাস বলেন, আমি গরিব মানুষ মীমের সুখের জন্য জামাই হুমায়ুনকে অনেক টাকা দিয়েছি এখন আর আমার টাকা নাই । আবার ১০ টাকা দাবি করেছে শুনেছি মেয়ের কাছে । আর দিতে পারব না।

মিম জানান ভেবেছিলাম টাকা দিলে সুখ পাওয়া যাবে। সংসার করতে পারবো। আমাদের একটা সুখী সংসার হবে। কিন্তু যৌতুকের টাকা দিয়েও আমার কপালে সুখ হয়নি শান্তি হয়নি। আমি অনেক মা/র খেয়েছি। আমার শাশুড়ী, আমার ননদ, আমার স্বামী মিলে আমাকে বেধড়ক মেরেছে। আমি মান-সম্মানের জন্য কাউকে বলি নাই সব চুপ করে সহ্য করেছি। কিন্তু এখন পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে তাই মামলা করতে বাধ্য হয়েছি। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই । আমার মত আর কোন মেয়ে যেনো যৌতুকের শিকার না হয়। নারী নির্যাতনের শিকার না হয়। আমার যৌতুকলোভী স্বামী হুমায়ূন তার আগের বিবাহ ও বউ ছিল। সেটা গোপন করে আমাকে বিয়ে করেছে। আমি বিবাহের পওে সেটা জানতে পেরেছি। হুমায়ুন অশিক্ষিত সেটাও বিবাহের পরে জানতে পেরেছি। সে ঠক প্রতারক মিথ্যাবাদী। আমি তার বিচার চাই। এ বিষয়ে জানতে মোঃ হুমায়ুন কবিরের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে ফোন রিসিভ করেননি।