নড়াইলের লোহাগড়ায় পিঃ চরসুচাইল বিদ্যালয়টি নদীগ*র্ভে বি*লীন হওয়ার সম্ভাবনা

0
26
নড়াইলের লোহাগড়ায় পিঃ চরসুচাইল বিদ্যালয়টি নদীগ*র্ভে বি*লীন হওয়ার সম্ভাবনা
নড়াইলের লোহাগড়ায় পিঃ চরসুচাইল বিদ্যালয়টি নদীগ*র্ভে বি*লীন হওয়ার সম্ভাবনা

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নে মধুমতি নদীর ভ*য়াবহ ভা*ঙ্গনের শি*কার পাংখারচর চর সুচাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি যে কোন সময়ে নদী গ*র্ভে বি*লীন হতে পারে। বিদ্যালয় ভবন ছাড়াও সংলগ্ন পাংখারচর, চরসুচাইল ও চরপরাণপুর গ্রামের শতাধিক পরিবার নদী ভা*ঙ্গন আত*ঙ্কে দিন কা*টাচ্ছে। এ এলাকার বেশির ভাগ মানুষ কৃষিজীবী।

দীর্ঘ ১০ বছর ধরে নদী ভা*ঙনে তিনটি গ্রামের শতাধিক বাড়িঘর, হাজারো গাছপালা ও কৃষি জমি নদীগ*র্ভে চ*লে গেছে। নদী ভা*ঙন প্রতিরো*ধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে পি-চরসুচাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদী গ*র্ভে বি*লীন হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে স্কুলের এক একর ১০ শতক মাঠ নদীতে বি*লীন হয়ে গেছে।

গত শনিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় নদীর এপারে নড়াইল ওপারে গোপালগঞ্জ জেলা। ১৯৭১ সালে সংশ্লিষ্ট এলাকার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া খরস্রো*তা মধুমতি নদীটি রাতারাতি গতি পরিবর্তন করে ফেলায় এই ৩ গ্রামের মধ্যে বিশাল বাওড়ের সৃষ্টি হয়। তবে এই বাওড়ে মূল মধুমতি নদী থেকে আসা নিয়মিত জোয়ার-ভাটায় তী*ব্র স্রোতের সৃষ্টি হয়। এই জোয়ার-ভাটার স্রোতে এখানে কয়েকটি পয়েন্টে ভা*ঙ্গন দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে পাংখারচর চরসুচাইল প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় ভা*ঙ্গনের তী*ব্রতা বেশি।

ভা*ঙ্গন কবলিত এলাকায় কথা হয় চরসুচাইল গ্রামের বাসিন্দা কল্লোল ফকিরের সাথে। তিনি জানান , মধুমতি নদীর মূল স্রোত অন্যত্র দিয়ে প্রবাহিত হলেও নদী ভা*ঙ্গনের ক*ষ্ট আমাদের ছাড়ে নাই। বাওড়ের তীরবর্তী তিন গ্রামের মানুষ এখনও নদী ভা*ঙ্গনে স*হা*য় স*ম্বল হা*রাচ্ছে। আমাদের তিন গ্রামের একমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি যে কোন সময়ে নদী ভা*ঙ্গনে বি*লীন হতে পারে। অনেকে বাড়িঘর, কৃষি জমি, গাছপালাসহ সহা*য়-স*ম্বল হারিয়েছেন। ভা*ঙনরো*ধে দ্রুত কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আরো অনেককেই বাড়িঘর হা*রিয়ে ঠাঁ*ই নিতে হবে রাস্তায়।

চরসুচাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুন্সী কামরুজ্জামান বলেন, ১০ বছর আগে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করি। প্রথম দিকে দুই শতাধিক ছাত্রছাত্রী থাকলেও নদী ভা*ঙন আত*ঙ্কে অনেক শিক্ষার্থী স্কুল ছে*ড়ে চলে গেছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ১১০জন। স্কুল মাঠটিও এক বছর আগে নদীগ*র্ভে চলে গেছে। এখন টি*নশেডের পাকাঘরটির কাছেই ভা*ঙন শুরু হয়েছে। ভা*ঙন থেকে মাত্র ১০ ফুট দুরে আছে স্কুলঘরটি, ঝুঁ*কির মধ্যে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্লাস করতে হয়। আমাদের দাবি, নড়াইল -২ আসনের সাংসদ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা মহোদয় যেন স্কুলটি র*ক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নেন।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড নড়াইলের কর্মকর্তারা জানান, চরসুচাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ এ এলাকার ভা*ঙন প্রতিরো*ধে গত বছর একটি প্রকল্প দাখিল করা হলে ২ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। যা দিয়ে ১৭০ মিটার কাজ বাস্তবায়ন সম্ভব হলেও ভা*ঙন প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখা সম্ভব হতো না। তাই পরবর্তীতে মধুমতি নদীর অতি ঝুঁ*কিপূর্ণ প্রকল্পের আওতায় একটি প্রকল্প দেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পটি পাশ হলে এখানে ৬০০ মিটার নদীতীর সংরক্ষণ কাজ বাস্তবায়ন করা যাবে। আশা করছি চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রকল্পটি অনুমোদন হবে।