নড়াইলে করোনার নমুনা সংগ্রহ ছাড়াই দাফন, মৃত শওকত আলীর পরিবারের সদস্যরা সুস্থ

2
222
নড়াইলে করোনার নমুনা সংগ্রহের ছাড়াই দাফন, মৃত শওকত আলীর পরিবারের সদস্যরা সুস্থ
নড়াইলে করোনার নমুনা সংগ্রহের ছাড়াই দাফন, মৃত শওকত আলীর পরিবারের সদস্যরা সুস্থ

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলে জ্বর, গলাব্যাথা, শ্বাসক*ষ্ট ও বমি নিয়ে নিয়ে গত ৩১ মার্চ রাতে সদর হাসপাতালে মৃত্যুবরণকারি যুবক শওকত আলীর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সুস্থ আছেন। গত দুইদিন কয়েকটি প্রচার মাধ্যমে শওকতের পরিবারের সদস্যদের অসুস্থতার খবরে এলাকায় আত*ঙ্ক দেখা দেয়। ৩ এপ্রিল শুক্রবার সরেজমিনে খোঁজ নিতে গেলে নিজেরা সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন বলে দাবি করেন।

মৃত শওকতের পরিবার ও এলাকাবাসি জানায়, শওকতের মৃত্যুর পর তার দেহে করোনার উপস্থিতির বিষয় নিশ্চিত না হয়েও বাড়তি সতর্কতার অংশ হিসেবে স্থানীয় প্রশাসন শওকতের বাবা-মা, ছোট দুই ভাইবোনকে বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করে তাদের বাড়ির প্রবেশ মুখে লাল পতাকা ও বাঁশের প্রতিবন্ধকতা দিয়ে ১৪দিনের জন্য ঐ বাড়ি ও সংলগ্ন এলাকাটি লকডাউন ঘোষণা করে। সেই থেকে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের পক্ষ থেকে পরিবারটির বাজারসহ দৈনন্দিন চাহিদা বহন করা হচ্ছে।

এ অবস্থায় গত দুইদিন যাবত কোন কোন মিডিয়া ও ফেসবুকে পরিবারটির অসুস্থতার খবর প্রচার হতে থাকলে এলাকায় আত*ঙ্ক সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় লকডাউনে থাকা পরিবারটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা অসুস্থ আছেন মিডিয়ার এমন খবরে ক্ষু*ব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে নিজেরা সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন বলে দাবি করেন। পরিবারটির অসুস্থতার খবরে বিস্ময় প্রাকাশ করেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরও।

উল্লেখ্য, নড়াইল পৌরসভাধীন ৭ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ নড়াইলের ওমর আলীর ছেলে সুপারি ব্যবসায়ী শওকত আলী সপ্তাহখানেক যাবত কাশি, সর্দী, জ্বর পাতলাপায়খানাসহ বিভিন্ন উপসর্গে ভুগছিল। এর এক পর্যায়ে তার ক্রমাগত বমি ও শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় গত মঙ্গলবার (৩১মার্চ) গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর হাসপাতালে নেয়ার কিছুক্ষনের মধ্যেই শওকত মারা যায়। এরপর শওকতের দেহে করোনার উপস্থিতি যাচাইয়ে নমুনা সংগ্রহ ছাড়াই ঐ রাতেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৃতদেহটি তড়িঘড়ি করে দাফন করা হয়।