দক্ষিণ নড়াইল লকডাউনের খবর গুজব

3
27
দক্ষিণ নড়াইল লকডাউনের খবর গুজব
করোনা ভাইরাস, জনসাধারণের করণীয়

স্টাফ রিপোর্টার

শ্বাসকষ্ট, জ্বর, পাতলা পায়খানা, গা ব্যাথা ও বমিতে আক্রান্ত হয়ে শওকত আলী (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু ঘটনায় দক্ষিণ নড়াইল লকডাউনের খবর ভিত্তিহীন। অনেকেই তাদের ফেসবুক আইডিতে এবং মুখে মুখে এ ধরণের গুজব ছড়িয়েছে। বুধবার (১ এপ্রিল) সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি এ ধরণের গুজব খবর বিভিন্ন মহলে শোনা গেলেও তার কোনো ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা।

তিনি বলেন, দক্ষিণ নড়াইলে শওকত আলী নামে একব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় ওই এলাকায় বাড়তি সর্তকতামূলক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। মৃত শওকত আলীর নমুনা সংগ্রহের প্রয়োজন নেই বলে সিভিল সার্জন আমাকে (জেলা প্রশাসক) জানিয়েছেন। এছাড়া এ এলাকা (দক্ষিণ নড়াইল) লকডাউন করারও প্রয়োজন নেই। সবাইকে অনুরোধ করব কেউ আতঙ্কিত না হয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতন হবেন।

প্রসঙ্গত, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, পাতলা পায়খানা, গা ব্যাথা ও বমিতে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) রাত ৯টার দিকে নড়াইল সদর হাসপাতালে শওকত আলী নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। শওকত শহরের দক্ষিণ নড়াইলের ওমর আলীর ছেলে এবং তিনি রূপগঞ্জ বাজারে সুপারির ব্যবসা করতেন।

মৃত শওকত আলীর স্বজন বাবু মোল্যা জানান, শওকতের শরীরে এক সপ্তাহ ধরে জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, গা ব্যাথাসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়। এরপর ঢাকায় করোনাসংক্রান্ত হটলাইনে ফোন দেয়া হলেও কোনো কাজ হয়নি। ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ সেবন করানো হলেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। একপর্যায়ে অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার রাতে নড়াইল সদর হাসপাতালে আনা হলে শওকত মারা যান।

নড়াইল সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তৌহিদুল হাসান তুহিন জানান, রোগির শ্বাসকষ্ট ও বমি ছিল। জ্বর মাঝে মাঝে এসেছে, আবার চলে গেছে। হাসপাতালে আনার পর তার মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার মশিউর রহমান বাবু জানান, হার্টঅ্যাটাকে শওকতের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে শওকতের মৃত্যুর ঘটনায় তার শরীরে করোনাভাইরাস আছে কিনা, তা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন পেশার মানুষ নানা মন্তব্য করেছেন।
অন্যদিকে, শওকত আলীর লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরের পর মঙ্গলবার রাতেই গোসল ও জানাজা ছাড়াই তাকে কবর দেয়া হয়েছে বলে এলাকাবাসী এবং পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

এছাড়া বুধবার সকাল থেকে তাদের বাড়ি তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান এলাকাবাসী। বাড়ির লোকজন ভেতরে, নাকি অন্য কোথাও আছেন তা জানাতে পারেননি স্থানীয়রা। তবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইয়ারুল ইসলাম জানান, পরিবারের লোকজন বাড়িতেই আছেন।