ছাত্রী নুসরাত হ’ত্যায় বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ সিরাজসহ ১৬ জনের ফাঁ’সি

1
13

ডেস্ক/এসএস

অবশেষে বিচারের রায় দেওয়া হলো আলোচিত মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত হ’ত্যা মামলার। ফেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে হাত-পা বেঁ’ধে পু’ড়িয়ে হ’ত্যা করার এই মামলা প্রধান আসামি ব’রখাস্তকৃত অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ ১৬ জনকে মৃ’ত্যুদ’ণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) অনুমানিক সকাল ১১টায় ফেনীর নারী ও শিশু নি’র্যাতন দম’ন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এই রায় ঘোষণা করেন। ১৬ জন আসামির মৃ’ত‌্যুদ’ণ্ডের পাশাপাশি সব আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

বিচারের এই রায় ঘোষণার সময় সেখানে সকল আসামি উপস্থিত ছিলো। মৃ’ত্যুদ’ণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামি হলো মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা, নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, সোনাগাজীর পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, হাফেজ আব্দুল কাদের, আবছার উদ্দিন, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে শম্পা ওরফে চম্পা, আব্দুর রহিম শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, মোহাম্মদ শামীম, মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সহ-সভাপতি রুহুল আমীন ও মহিউদ্দিন শাকিল।

বিচারের আগে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ ও উভয় পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করা হয় এবং গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিচারের রায়ের জন্য আজকের দিন অর্থাৎ ২৪ অক্টোবর ধার্য করেন ফেনীর নারী ও শিশু নি’র্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ। এই মামলার প্রধান আসামি বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ ১৬ আসামির সর্বোচ্চ সা’জা চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় বাদী ও রাষ্ট্রপক্ষ। মামলার রায় ঘোষণার পর বিচারক আদালতে ৬১ কার্যদিবসের মধ্যে এই রায় ঘোষণা করা হয়েছে উল্লেখ করে সন্তোষ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। তারা আশা করেন উচ্চ আদালতেও দ্রুত সময়ে মামলাটি নিষ্পত্তি করা হবে।

তবে বিচারের এই রায়ে অস’ন্তোষ প্রকাশ করেছে আসামি পক্ষের আইনজীবী। এই রায় নিয়ে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন বলেও জানান। অন্যদিকে, রায় ঘোষণার পর আসামিদের প্রিজ’ন ভ্যানে তোলা হলে তাদের ভ্যানের ভেতর বিক্ষু’ব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাতে দেখা যায়। বিচারের এই রায় ঘোষণার মাধ্যমে অতি অল্প সময়ে একটি চাঞ্চল্যকর হ’ত্যা মামলার দৃষ্টান্তমূলক বিচারের ব্যবস্থা করে প্রশংসিত হলো বাংলাদেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থা।