নড়াইলে প্রাইমারী স্কুলের দপ্তরি স্কুলে দেহ ব্যবসার অভিযোগে বরখাস্ত

3
328

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইল সদরের নাকশী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরীকে স্কুলের কক্ষে দেহ ব্যবসার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার অসিত বরণ জানান, রোববার (১৬জুন) স্কুল পরিচালনা পর্যদ এক মিটিং-এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ,স্কুলের নৈশ প্রহরী লতিব সিকদার মাঝেমধ্যে ওই স্কুলের কক্ষে বাইরে থেকে যুবতি মেয়ে এনে দেহ ব্যবসার সাথে লিল্প ছিল। বুধবার (১২জুন) রাতে এলাকাবাসী হাতে নাতে বিষয়টি ধরে ফেলে। পরে প্রভাবশালী কিছু লোকের উপস্থিতিতে ছাড়া পায় ঐ নাইটগার্ড। এ ঘটনায় শনিবার (১৫ জুন) বিকেলে স্কুল প্রাঙ্গনে ঐ নৈশ প্রহরী সহ জড়িতদের শাস্তির দাবীতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুনীল কুমার নাগ জানান, বিষয়টি খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে স্কুলে ছুটে আসি। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আশরাফ সিকদার,মফিজুর রহমান, সুলতান আহম্মেদ,শরিফুল ইসলামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানাই শনিবার (১৫জুন) স্কুল খুললে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলি। রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভা করে তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্কুলের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী লতিব সিকদার নিজের দোষ অস্বিকার করে বলেন,আমি স্কুলে ঘুমিয়ে ছিলাম। আমি কিছু জানিনা। প্রতিবেশী বিপ্লব মোল্যা জানান,স্কুল হলো মানুষ গড়ার স্থান। এই স্থানে এই ধরনের অপকর্ম দিনের পর দিন চললেও প্রভাবশালীদের কারণে ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারেনি। বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি আশরাফ সিকদার এর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

নড়াইল সদর থানা পুলিশের এস আই রজত জানান, এই স্কুলের দপ্তরী কাম নাইটগার্ডের অপকর্মের অভিযোগ পেয়ে ওই স্কুলে যাই। এ ঘটনায় কয়েকজন জড়িত আছেন। স্কুল কর্তৃপক্ষকে মামলা করতে বলা হয়েছে। মামলা করলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।