নড়াইলে কলার বাম্পার ফলনঃ কৃষকের মুখে হাসি

5
30

নিজস্ব প্রতিবেদক

নড়াইলে এ বছর কলার বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি রমজান মাসে কলা ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।পাশাপাশি চাষীরা কলার মুল্য তিনগুন-চারগুণ বেশী মূল্যে বিক্রী করছে। জমিতে বসেই কলার ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় কৃষকদের মুখে ফুটেছে হাসি। কলা চাষ করে অনেকের ভাগ্য বদলে গেছে। এ জেলার কৃষকরা কলাচাষের দিকে ঝুকে পড়ছে। এখান থেকে কলা ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হয়। তবে গাড়ীতে করে কলা নেয়ার পথে অনেক কলার ছড়া নষ্ট হয়ে যায়। এজন্যে অনেক সময় বৃষকদের বড় অঙ্কের ক্ষতিও গুনতে হয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ অঞ্চলের মাটি ও আবাহাওয়া কলা চাষের উপযোগী। জয়েন্ট গর্ভনর, সাগর, কাঁঠালি, সর্বি ও চাঁপা সর্বি কলার উৎপাদন বেশি। পাঁচটি জাতের মধ্যে কাঁঠালি কলা পুষ্টিগুণের দিক থেকে অনেক বেশি। এছাড়া এ জাতের কলাটি বেশি দিন টেকসই থাকে। দ্রুত নষ্ট হয় না।

এ মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়ায় গাছে ব্যাপক কলার ধরেছে। তবে মৌসুমের শুরুতে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কলা বৃদ্ধি কম হয়েছে। এরপরও কলার ভাল ফলন পেতে কলা চাষীরা দিন-রাত পরিচর্যা করে যাচ্ছে। কিছু কিছু গাছে আগাম কলা পাকতে শুরু করেছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রচুরকলা রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করছেন চাষীরা। তবে সিংহভাগ জমিতে সর্বি কলার চাষ করা হয়েছে। ধান, পাট ও আখসহ প্রচলিত অন্যান্য ফসলের তুলনাই কলাচাষে শ্রম ব্যয় হয় কম।বিক্রি করতেও ঝামেলা নেই।বাগান থেকেই বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে কলার বাজারে সহজে ধ্বস নামে না। চড়াঞ্চলের এসব জমিতে অন্যকোন ফসল ভাল না হওয়ায় পুষ্টিকর কলার চাষ দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কলাচাষি ইমরান হোসেন বলেন, ‘এক যুগেরও বেশী সময় ধরে কলার চাষ করছি। প্রাথমিক ভাবে প্রধান ফসলের সঙ্গে কিছু সংখ্যক জমিতে সাথী ফসল হিসাবে কলার চাষ শুরু করি। স্বল্প বিনিয়োগে ও কম পরিশ্রমে কলা চাষে অধিক মুনাফা হওয়ায় এ ফসলকেই বেছে নিয়েছি। আমার কলা চাষের সাফল্য দেখে এলাকার অন্যান্য কৃষকরা এখন কলা চাষের দিকে ঝুঁকেছেন। চলতি রমজান মাসে কলার দাম তিনগুন বেশী পাচ্ছি।’ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ চিন্ময় রায় বলেন, ‘কলার চাষ বাড়াতে প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনীর ব্যবহার করা হচ্ছে।’