নড়াইলে হত্যাকাণ্ডের জের ধরে আসামীদের বাড়ি লুটপাট ও ভাংচুর

2
215

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইল সদর উপজেলার শালিখা গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ডাবলু শেখকে কুপিয়ে হত্যাকাণ্ডের মামলার আসামীদের বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করেছে বাদি পক্ষের লোকজন। ফলে জনমানবশূণ্য হয়ে পড়েছে কামালপ্রতাপ গ্রামের একাংশ। পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ২৫ এপ্রিল রাত পৌনে ১০টার দিকে শালিখা বাজারে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ডাবলু শেখ খুন হন। নিহত ডাবলু ২০১২ সালে সেনাবাহিনীর চাকুরি থেকে অবসরে আসেন। তিনি পুরাতন শালিখা গ্রামের আব্দুস সালাম শেখের ছেলে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, শালিখা বাজারে দোকানে টিভি দেখার সময় অতর্কিত ভাবে হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় ডাবলু শেখের হাত, ঘাড় ও বুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর নড়াইল থানায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। হত্যা মামলা দায়েরের পর আসামী এবং তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা গ্রেফতারের ভয়ে গা ঢাকা দেয়। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাদি পক্ষের লোকজন আসামীদের বাড়ি চড়াও হয়ে ভাংচুর ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আসামীদের কয়েকটি বাড়ি জনমানবশূণ্য। ঘরবাড়ি ভাংচুর করে লুটপাট করা হয়েছে। হত্যা মামলার আসামী এস এম মাহবুব আলম (বিদ্যুৎ) কামাল প্রতাপ এস জে ইউনিয়ন ইন্সটিটিউশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক।

মাহবুব আলম (বিদ্যুৎ) এর মা সেলিনা বেগম অভিযোগ করেন, হত্যাকান্ডের ঘটনার পর থেকে প্রতিদিন বাদি পক্ষের লোকজন লুটপাট ও ভাংচুর চালিয়ে যাচ্ছে। গত ১৬ মে মামলার ২৬জন আসামী নড়াইল সদর উপজেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে আতœসমর্পন করেন। বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট সব আসামীকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। ২৬জন আসামী জেলহাজতে আটক হওয়ায় বাদী পক্ষের লোকজন ওইদিন রাতে আসামীদের বাড়ি হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। এছাড়া মাঠে থাকা পাকা ধানসহ অন্যান্য ফসলও কেটে নিয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি মোঃ ইলিয়াছ হোসেন বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু অনাকাংখিত ঘটনা ঘটলেও বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। এলাকায় শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য পুলিশ টহল দিচ্ছে।