নড়াইলে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও চাল আত্মসাতের অভিযোগ

4
418

স্টাফ রিপোর্টার

ভিজিডি’র চাল আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম ও দুর্ণীতির অভিযোগে নড়াইল সদর উপজেলার সিঙ্গাশোলপুর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এলাকাবাসি বিক্ষোভ মিছিল-মানববন্ধন করেছে। শুক্রবার দুপুরে সিঙ্গাশোলপুর-পেড়লী সড়কের শোলপুর ও তারাপুর এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সুষ্ঠু তদন্ত এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউপি সদস্যরা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন সিঙ্গাশোলপুর ইউপি’র ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মোঃ শরিফুল ইসলাম, ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শেখর বিশ্বাস, মহিলা সদস্য শেফালি বেগম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান উজ্জল শেখ ভিজিডি কার্ডধারী মানুষদের প্রতি মাসে ৩০কেজি করে ভিজিডির চাল দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তিনি কাউকে এক বস্তা (৩০ কেজি), কাউকে দু’বস্তা চাল দিচ্ছেন। ইউপি সদস্যদের জমা দেওয়া তালিকা অনুযায়ী বয়স্কভাতা, ভিজিডি কার্ড প্রদান না করে আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে কার্ড বিতরণ করেছেন। এমনকি ভূয়া নাম দেখিয়ে তাদের মালামাল আত্মসাত করেছেন।

জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান উজ্জল শেখ বলেন, চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে পরাজিত খায়ের মোল্যা আমার ভাবমূর্তি নষ্ট এবং বদনাম সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। তিনি দাবি করেন, এলাকার মানুুষের মধ্যে গুজব ছড়িয়ে মানুষকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছেন। ইউনিয়নের প্রকৃত দুস্থ মানুষদের তালিকা প্রস্তুত করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে ।

তারাপুর গ্রামের পলাশ মোল্যার স্ত্রী মোসাম্মাৎ সাবিনা বলেন, তালিকায় আমার নাম থাকলেও আমি কিছুই জানিনা। তিনি বলেন, আমি চাল পাইনি। একই গ্রামের খায়রুল মোল্যার স্ত্রী রাবেয়া খানম বলেন, আমি এখনো পর্যন্ত কোনো চাল পাইনি। অথচ আমার নামে কার্ড আছে। ইউপি সদস্য মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, আমি পরিষদে যে তালিকা জমা দিয়েছি, চাল দেওয়ার সময় তাদের কারোর নামই নেই। তিনি বলেন, চেয়ারম্যান ভূয়া নাম দিয়ে এদের চাল আত্মসাত করেছেন। আবার একই পরিবারের চারজনকে কার্ড দিয়েছেন।

ইউপি সদস্য শেখর বিশ্বাস বলেন, চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য ছাড়াও সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন । তাদের হক মেরে খাচ্ছেন। এর প্রতিবাদে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খায়ের মোল্যা বলেন, নির্বাচনে জনগণের রায় মেনে নিয়েছি। একজনের বিরুদ্ধে বিনা কারণে বদনাম কিংবা ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার কোনো ধরণের মানষিকতা নেই। জেলা প্রশাসক আনজুুুুমান আরা বলেন, সিঙ্গাশোলপুর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।