নড়াইলে বেতন-বৈশাখী ভাতা তুলতে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ভোগান্তি!

6
39

স্টাফ রিপোর্টার

পহেলা বৈশাখে বৈশাখী ভাতা তুলতে পারছেন না নড়াইলের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। এবারই প্রথমবারের মতো বৈশাখী ভাতা দেওয়া দেয়া হলেও এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বৈশাখের প্রথম দিন তা হাতে পাচ্ছেন না। এদিকে প্রতি মাসের বেতন-ভাতা তুলতেও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে শিক্ষকরা অভিযোগ করছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ৯এপ্রিল বেসরকারি স্কুল,কলেজ শিক্ষকদের বৈশাখী ভাতা/১৪২৬ বঙ্গাব্দ-এর সরকারি অংশের ৮টি চেক রাষ্টায়ত্ত চারটি ব্যাংকে হস্তান্তর করা হয়। শিক্ষক-কর্মচারীরা বৃহস্পতিবার(১১ এপ্রিল) পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শাখা ব্যাংক হতে উত্তোলন করতে পারবেন বলে ”সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে” জানানো হয়। সোনালী ব্যাংক নড়াইল শাখার সিনিয়র অফিসার আ.ন.ম নাজমুন হক জানান, লোহাগড়া এবং কালিয়া উপজেলার এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বিল সিট সোনালী ব্যাংকে আসলেও এখনও পর্যন্ত পৌছায়নি।

এদিকে নড়াইল সদর উপজেলার এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের প্রতি মাসের সরকারি অংশের বেতন-ভাতা রূপালি ব্যাংকের শাখার মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়। সদর উপজেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, রূপালি ব্যাংকের নড়াইল শাখায় বৈশাখী ভাতার উত্তোলনের শেষ দিন বৃহস্পতিবারও (১১ এপ্রিল) তারা বিল জমা দিতে পারেননি। বৈশাখী ভাতার বিল জমা দিতে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বসিয়ে রাখে ব্যাংক কতৃপক্ষ। পরে আগামী ১৫ এপ্রিল (২ বৈশাখ) বৈশাখী ভাতার বিল জমা নেবে বলে চলে যেতে বলে। এ সময় বৈশাখের আগে বৈশাখী ভাতা তুলতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা ।

নড়াইলের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের প্রতি মাসের সরকারি অংশের বেতন-ভাতা তুলতে ভোগান্তির যেন শেষ নেই। অনেক ক্ষেত্রে বিল জমা নিতে গড়িমসি করেন ব্যাংক কর্মকর্তরা। এ বিষয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলে তারা নানা অজুহাত দেখায় এবং পরবর্তীতে হয়রানির মাত্রা আরও বেড়ে যায়। এ কারনে অনেকেই ভোগান্তিকে নিয়তি বলেই মেনে নিয়েছেন।

হয়রানির ভয়ে নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে শিক্ষকরা ব্যাংক কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা প্রকার অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষকরা ব্যাংকে টাকা তুলতে গেলে সিরিয়াল লাগে,লাইন ধরে দাড়াতে হয়। কিন্ত অনান্য গ্রাহকদের সিরিয়াল লাগে না। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেওয়া সিরিয়াল ছাড়াই টাকা দেওয়া হয়। এতে শিক্ষকরা অপমানিতবোধ করেন।

শিক্ষক-কর্মচারীদের সরকারি অংশের বেতন-ভাতার চেক রাষ্টায়ত্ত ব্যাংকে হস্তান্তর করে ৭/৮ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শাখা ব্যাংক হতে বেতন উত্তোলন করতে বলা হয়। কিন্ত রূপালি ব্যাংকের নড়াইল শাখা বেতন উত্তোলনের শেষ দিনে বেতন ভাতার বিল জমা নেয়। উত্তোলনের তারিখ দেয়া হয় আরও পরে।

শিক্ষকগণ আরো বলেন, দেশের সকল ব্যাংক অনলাইনের মাধ্যমে পরিচালিত হলেও আমাদের বেতন তুলতে দেরী হয়। এটা অপ্রত্যাশিত এবং দুঃখজনক। এ বিষয়ে রূপালি ব্যাংকের নড়াইল শাখায় ব্যাবস্থাপক এস এম ওয়াহিদুজ্জামানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, শিক্ষকদের বৈশাখী ভাতার অর্ডার সিট (হার্ড কপি) এখনও পর্যন্ত হাতে পায়নি। ফলে বৃহস্পতিবার বৈশাখী ভাতা জমা দেওয়ার শেষ দিন হলেও আগামী ১৫ এপ্রিল (২ বৈশাখ) বৈশাখী ভাতার বিল জমা নেওয়া হবে। ব্যাংকে টাকা তুলতে গেলে সিরিয়ালের ব্রেকের বিষয় তিনি অস্বীকার করে বলেন,শিক্ষকরা মাসে ১/২দিন আসেন টাকা তুলতে। আমাদের নিয়মিত গ্রাহকেরা হয়তো কোনভাবে আগে টাকা তুলতে পারেন।