২৫ মাসেও সংস্কার হয়নি শিয়েরবার-মাকড়াইল সড়কের, বাড়ছে ভোগান্তি

0
40

স্টাফ রিপোর্টার

ভাঙ্গা সড়ক ও ধুলাবালির কারণে মাকড়াইল কে কে এস ইনস্টিটিউশন স্কুলের শিক্ষার্থীসহ আশেপাশের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা, ও এলাকাবাসীরা প্রতিনিয়ত অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এমতাবস্থায় নড়াইল ২ আসনের এমপি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, ও লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শিকদার আব্দুল হান্নান রুনু সাহেবের নিকট দ্রুত এই ভাঙ্গা সড়কের সংস্কারের জন্য দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

লোহাগড়া উপজেলার লোহাগড়া থেকে লাহুড়িয়া সড়কের সংস্কার কাজ হলেও, শালনগর ইউনিয়নের শিয়েরবার তালতলা থেকে মাকড়াইল কে কে এস ইনস্টিটিউশন স্কুল পর্যন্ত ৩ দশমিক ৬৩ কিলোমিটার সড়কের এখন পর্যন্ত কোন সংস্কার কাজ হয়নি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে শিয়েরবার, তালতলা থেকে মাকড়াইল পর্যন্ত, সড়কের বেহাল দশা। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে দুই বছর আগের সংস্কারের উদ্যোগ নিলেও সংস্কার কাজ এখনো শেষ হয়নি। সংস্কারের সময় নিম্নমানের ২ নং বা ৩ নং পুরনো ইট ব্যবহার করা হয়েছিল। সড়ক সংস্কারের দায়িত্ব নিয়েছিল ফরিদপুরের, এ কে এম আকরামুজ্জামান ঠিকাদার। সড়ক কার্পেটিং এর আগেই ঠিকাদার উধাও হওয়ায় তৈরি হয়েছে নানা জটিলতা।

মাকড়াইল কে কে এস ইনস্টিটিউশন, রঘুনাথপুর আলিম মাদ্রাসা, শালনগর মডার্ন একাডেমী, এস এম এ আহাদ মহাবিদ্যালয়সহ আরো আনেক স্কুল ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীরা, এবং শালনগর ও লাহুড়িয়া ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ এই সড়ক ব্যবহার করেন। এই সড়কের পাশে লাহুড়িয়া, মাকড়াইল, আপিল গেট, বাতাসি, মন্ডল ভাগ ও শিয়েরবার এলাকায় বাজার রয়েছে। এসব বাজারে পণ্য পরিবহনে প্রতিনিয়ত ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান চলাচল করে। চলাচল করে যাত্রীবাহী বাস, ও অসংখ্য অটোরিকশা।

এলাকা সূত্রে যানা গেছে, শিয়েরবার থেকে মাকড়াইল পর্যন্ত, ৩ দশমিক ৬৩ কিলোমিটার অংশ মেরামত করতে ১ কোটি ২৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। ফরিদপুরের, এ কে এম আকরামুজ্জামান নামের এক ঠিকাদার কাজ পান। তবে কাজ ফেলে রাখার কারণে ঠিকাদার এর কার্যাদেশ বাতিল করা হয়। ২০১৭ সালের ১৫ ই মার্চ সড়কটি, সংস্কারের জন্য কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল। কাজ শেষ করার মেয়াদ ছিল ২৯ শে জুন ২০১৭, সড়কের কাজটি দীর্ঘ ২৫ মাস পড়ে আছে। নড়াইল ২ আসনের এমপি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, ও লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শিকদার আব্দুল হান্নান রুনু সাহেবের কাছে এই সড়কের সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।