২০ ফেব্রুয়ারি চারণকবি বিজয় সরকারের ১১৭তম জন্মদিন

155
26

স্টাফ রিপোর্টার

একুশে পদকপ্রাপ্ত নড়াইল সন্তান চারণকবি বিজয় সরকারের (বিজয় কৃষ্ণ অধিকারী) ১১৭তম জন্মদিন ২০ ফেব্রুয়ারি। এ উপলক্ষ্যে কবির বসতভিটা নড়াইল সদর উপজেলার ডুমদি গ্রামে ২০ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি চার দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

কবিয়াল বিজয় সরকার ১৯০৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি (৭ ফাল্গুন, ১৩০৯ বঙ্গাব্দ) নড়াইল সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের ডুমদি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। চারণ কবির বাবার নাম নবকৃষ্ণ অধিকারী ও মায়ের নাম হিমালয়া অধিকারী। বিজয় সরকার নবম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন, মতান্তরে মেট্রিক পর্যন্ত। তব্র জানা যায়, ১৯২৬ সালে পিতার হঠাৎ মৃত্যুর জন্য তাঁর আর মেট্রিকুলেশন পরীক্ষা দেয়া হয় না। পর তাঁর দুই স্ত্রী বীণাপানি ও প্রমোদা অধিকারীর কেউ বেঁচে নেই। বিজয় একাধারে গীতিকার, সুরকার ও গায়ক ছিলেন। ১৮০০ বেশি গান লিখেছেন তিনি। প্রকৃত নাম বিজয় অধিকারী হলেও সুর, সঙ্গীত ও অসাধারণ গায়কী ঢঙের জন্য ‘সরকার’ উপাধি লাভ করেন। ‘পাগল বিজয়’ হিসেবে সমধিক পরিচিত তিনি। বার্ধ্যকজনিত কারণে ১৯৮৫ সালের ৪ ডিসেম্বর ভারতের হাওড়ার বেলুডে পরলোকগমন করেন। শিল্পকলায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৩ সালে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত হন।

বিজয় সরকার গেয়েছেন-‘পোষা পাখি উড়ে যাবে সজনী/ ওরে একদিন ভাবি নাই মনে/ সে আমারে ভুলবে কেমনে…।’ প্রিয়জনের উদ্দেশ্যে লিখেছেন-‘তুমি জানো নারে প্রিয়/ তুমি মোর জীবনের সাধনা…।’

বিজয় সরকার জন্মজয়ন্তী উদ্যাপন পর্ষদ প্রচার কমিটির আহবায়ক সুলতান মাহমুদ বলেন, জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে চারণকবি বিজয় সরকার ফাউন্ডেশন ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে ডুমদিতে কবির প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, নগরকীর্ত্তন, মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জ্বলন, প্রসাদ বিতরণ ও বিজয়গীতি পরিবেশন করা হবে। এছাড়া ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে আলোচনা সভা ও দুপুরে বিজয়গীতি, ২২ ফেব্রুয়ারি বিজয়গীতি এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে জারিগান ও আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে।