যোদ্ধা শাহনাজের মুখে হাসি, গ্রেফতার ছিনতাইকারী

5
9

নিউজ ডেস্ক

শাহনাজ আক্তারের সংগ্রামী জীবনের গল্প উঠে এসেছিলো প্রথম আলোর একটি শিরোনামে- ‘মানুষের হাসি দেখলে তো আমার সংসার চলবে না’। জীবিকার তাগিদে স্মার্টফোনের অ্যাপভিত্তিক ট্যাক্সি-সেবার নেটওয়ার্ক উবারে স্কুটি/মোটরবাইক চালান শাহনাজ আক্তার। গতকাল মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর খামারবাড়ি এলাকা থেকে তাঁর বাইকটি চুরি হয়। ভেঙ্গে পড়েননি শাহনাজ। স্কুটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করেন এই নারী যোদ্ধা। আজ বুধবার (১৬ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ থেকে তাঁর চুরি যাওয়া মোটরবাইকটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সাথে জোবায়দুল (২৬) নামের এক যুবককে আটক করা হয়।

পুলিশ জানায়, তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় নারায়ণগঞ্জের রঘুনাথপুর গ্রাম থেকে ছিনতাইকারী জোবায়দুল ইসলাম জনিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শাহানাজ বাদী হয়ে স্কুটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় জনিকে আসামি করে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশের একটি টিম তাদের কাজ শুরু করে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জনির নম্বর ট্রেস করে তার বোনের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে। উপ-কমিশনার জানান, জনির বোনের কাছ থেকে নারায়ণগঞ্জের একটা ঠিকানা নিয়ে রাতেই নারায়ণগঞ্জের রঘুনাথপুর গ্রাম থেকে জনিকে গ্রেফতার এবং স্কুটিটি উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, জনি নিজেকে অ্যাপসভিত্তিক রাইড শেয়ারিংয়ের রাইডার হিসেবে পরিচয় দিলেও তার আসল উদ্দেশ্য বাইক চুরি করা। সে আর কোনো চুরির সঙ্গে জড়িত রয়েছে কিনা, তা যাচাই করে দেখতে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। বাইক উদ্ধারের পর পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে শাহনাজ আক্তার বলেন, ‘পুলিশ চেষ্টা করলে সবই পারে, এটা আবারও প্রমাণিত হলো’। (সূত্রঃ বাসস)

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জনির সাথে শাহনাজের অল্প দিনের পরিচয়। শাহনাজকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গতকাল তাঁর সঙ্গে দেখা করেন জনি। এসময় দুজনে বলতে থাকেন। একপর্যায়ে প্রতারণা করে শাহনাজকে রেখে আকস্মিকভাবে মোটরবাইকটি নিয়ে সড়ে পড়েন জনি। উদ্ধারের পর স্কুটি ফিরে পেয়ে মুখে হাসি ফুটেছে শাহনাজের।