হামলার ভয়ে বাড়ি ফিরতে পারছে না নড়াইলের পারমল্লিকপুর গ্রামের দুইশত পরিবার

0
63

স্টাফ রিপোর্টার

গ্রাম্য কোন্দলের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলার ভয়ে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পার-মল্লিকপুর গ্রামের দুই শতাধিক পরিবার দীর্ঘ ৮ মাস ধরে বাড়ি যেতে পারছেন না। ভুক্তভোগী এসব পরিবারের সদস্যরা আত্মীয় স্বজন বাড়ি ও বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া করে বসবাস করছেন।

এদিকে একটি হত্যাকান্ডকে পুঁজি করে আসামীপক্ষের দুই শতাধিক বাড়িঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। লুটপাট করা হয়েছে এসব পরিবারের মূল্যবান জিনিসপত্র।

এলাকাবাসীসূত্রে জানাগেছে, পারমল্লিকপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হেমায়েত হোসেন হিমু ও উজ্জ্বল ঠাকুর গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। ২০১৮ বছরের ২১ এপ্রিল সংঘর্ষে উজ্জ্বল ঠাকুর গ্রামের সমর্থক খায়ের মৃধা নিহত হন। খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উজ্জ্বল ঠাকুরের লোকজন আসামীপক্ষ হেমায়েত হোসেন হিমু গ্রামের লোকজনের ওপর অত্যাচার শুরু হয়। হিমু পক্ষের সমর্থকদের অন্তত ২শত পরিবারের বাড়িঘর ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। খুলে নেয়া হয়েছে জানালা, দরজা সহ মূল্যবান জিনিসপত্র।

ক্ষতিগ্রস্থ মোঃ ওহিদুজ্জামান জানান, খায়ের মৃধা হত্যকান্ডের পর থেকে শিশু থেকে বৃদ্ধরা পর্যন্ত গ্রাম ছেড়ে আত্মীয় স্বজন বাড়ি ও শহর বাসা ভাড়া করে থাকতে হচ্ছে। কোটি কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ নষ্ট করেছে। অনেকের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ রয়েছে। আর্থিক অস্বচ্ছলতায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

তবে এ ব্যাপারে অপরপক্ষের মাতুব্বার উজ্জ্বল ঠাকুর বলেন, ‘‘২০১৬ সালে হেমায়েত হোসেন হিমু গ্রুপের নূর ইসলাম ও ইকবাল মৃধা খুন হয়। তখন আমাদের পক্ষের বাড়িঘর ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছিলো। এবার আমাদের পক্ষের খায়ের মৃধা মার্ডার হওয়ার পর আমাদের লোকজন ওদের কিছু বাড়িঘর ভাংচুর করেছে। উভয়পক্ষ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে সে জন্য লোহাগড়ার থানার ওসি সাহেব আমাদের ডেকেছিল। আশা করা যায় ঝামেলা মিটে যাবে’।

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘নড়াইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশে দুপক্ষকে ডেকে মিলেমিশে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আশা করি খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’