মাশরাফীর টানে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তিন শতাধিক ভক্ত এখন নড়াইলে

2
1951

নিজস্ব প্রতিবেদক

কলেজ ছাত্র বগুড়া জেলার সাখাওয়াত হোসেন। তিনি এখন নড়াইলে রাত নেই দিন নেই মাথায় বাংলাদেশের পতাকা বেঁধে, বুকে-পিঠে এক প্রার্থীর পোষ্টার ঝুলিয়ে নির্বাচনী গণ সংযোগে ব্যস্ত। সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কখনও বাঁশি বাজিয়ে, কখনো আবার মুখে সকলের কাছে সেই প্রার্থীও জন্য ভোট প্রার্থনা করছেন।

ঢাকার মিরপুর এলাকার মৃদুল হালদার ও নাহিদ পারভেজ নড়াইলে ১০ দিন এসেছেন। উঠেছেন শহরের সম্রাট আবাসিক হোটেলে। বরিশালের চরমোনাই এলাকার রেদওয়ান বাঙ্গালী উঠেছেন একই হোটেলে। তারা যে যার মতো নির্বাচনী কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। শুধু এরাই নয় ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, পিরোজপুর,পটুয়াখালী, ফরিদপুর, শরিয়তপুর নেত্রকোনা, খুলনা, বাগেরহাট,সাতক্ষীরা, যশোর, সিলেটসহ প্রায় ২০টি জেলা থেকে শতাধিক তরুণ এখন নড়াইলে এক এমপি প্রার্থীর জন্য নিজেদের খরচে গণ সংযোগ করে চলেছেন।

সে প্রার্থী আর কেউ নয় তিনি হলেন নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত জনপ্রিয় ক্রিকেটার মাশরাফী বিন মর্তুজা। বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত মাশরাফী র জন্য এই ভালোবাসা। এই ভালোবাসা তাদের নিয়ে এসেছে নড়াইলে। সাখাওয়াতের মতো অনেকেরই সারা গায়ে মাশরাফী র ছবি। ধ্যানে জ্ঞানে মাশরাফী । কখনো মুখে বাঁশি, কখনো মুখে- শুধু ‘মাশরাফী মাশরাফী শ্লোগান’, আবার কখনও ‘মাশরাফী ভাই এর সালাম নিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন’।
এসব মাশরাফী ভক্ত নড়াইলের সম্রাট ও ডলফিন আবাসিক হোটেল এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে উঠেছেন। নিজেদের খরচেই খাওয়া এবং নির্বাচনী প্রচারণা। তাদের বক্তব্য বসের জন্য নড়াইলে আসা। নতুন এ জায়গা না চিললেও বিভিন্ন মানুষের কাছে শুনে শুনে তারা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে গিয়ে তার জন্য কাজ করে বেড়াচ্ছেন। তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ মাশরাফী কে না জিতিয়ে বাড়ি ফিরবেন না। সাখাওয়াত, মৃদুল, নাহিদ, রেদওয়ানের মতো তিন শতাধিক তরুণ কোনো দান বা প্রতিদান থেকে নয় মাশরাফীর প্রতি ভক্তি, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার টানে নড়াইলে ছুটে এসেছেন।

জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারন সম্পাদক মলয় কুন্ডু বলেন, বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শতাধিক মাশরাফী ভক্ত শিল্পকলা একাডেমীর ৬টি হল রুমে থাকছেন এবং তারা তাদেও মতো কওে মাশরাফী র পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে।
মাশরাফীর প্রিয় মামা নাহিদুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন জেলা থেকে মাশরাফী ভক্ত আসছে। তারা অনেকেই নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে দিনের দিন চলে যাচ্ছেন, আবার অনেকে শিল্পকলা একাডেমী, বিভিন্ন হোটেলসহ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় থাকছেন।