১০ ডিসেম্বর, নড়াইল মুক্ত দিবস নানা আয়োজনে পালিত

5
15

স্টাফ রিপোর্টার

১০ ডিসেম্বর, নড়াইল মুক্ত দিবস নড়াইলে নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে নড়াইলকে শত্রুমুক্ত করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের নানা ঘটনার পর নড়াইলকে হানাদারমুক্ত করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন মুক্তিযোদ্ধারা। সে মোতাবেক মুক্তিযোদ্ধারা ০৯ ডিসেম্বর তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলেন নড়াইল শহরকে। ১০ ডিসেম্বর পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাক ক্যাম্পের ওপর হামলা চালালে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে তুমূল সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় বাগডাঙ্গা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর ও মতিয়ার রহমান শহীদ হন। পরে মুক্তিবাহিনীর হাতে পাক ক্যাম্পের দুই সেন্ট্রি নিহত হলে বেলা ১১ টার দিকে ক্যাম্প অধিনায়ক বেলুচ কালা খান বিপুল অস্ত্রসহ সারেন্ডার করেন। তখন জয় বাংলা শ্লোগানে প্রকম্পিত হয় নড়াইল শহর।

দিবসটি পালন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, চিত্রা থিয়েটারসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় ও মুক্তিযুদ্ধা পতাকা উত্তোলন, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ, বদ্ধভূমি গণকবর ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বিশেষ মোনাজাত, যুদ্ধকালীন থিম থিয়েটার, র‌্যালি এবং আলোচনা সভা।

জেলা প্রশাসন , পুলিশ প্রশাসন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, নড়াইল প্রেসক্লাবসহ সরকারি-বে-সরকারি দপ্তর, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সকালে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ, বদ্ধভূমি, গণকবর ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এ সব অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডঃ সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডঃ সুবাস চন্দ্র বোস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ইয়ারুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী মাহবুবুর রশীদ, স্থানীয় সরকার বিভাগ নড়াইলের উপ-পরিচালক মোঃ মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ বাকাহিদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফুউদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা সেলিমসাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ গোলাম কবির, মুক্তিযোদ্ধা, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, সাংস্কৃতিক কর্মিসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।