রাজশাহী ও বরিশালে নৌকা নির্বাচিত এবং সিলেটে ধানের শীষ জয়ের দ্বারপ্রান্তে

4
11

ডেস্ক রিপোর্ট

সোমবার অনুষ্ঠিত তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছে। অপরদিকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর জয় প্রায় নিশ্চিত। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাথীর চেয়ে ৪,৬২৬ ভোটে এগিয়ে আছেন। স্থগিত রয়েছে দুটি কেন্দ্রের ফল। এ দুটি কেন্দ্রের মোট ভোট সংখ্যা ৪,৭৮৭।

রাজশাহী সিটির ১৩৮টি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এইচএম খায়রুজ্জামান লিটন নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৭৭ হাজার ৭০০ ভোট। রিটার্নিং কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান সোমবার সন্ধ্যায় নির্বাচনের এই ফলাফল ঘোষণা করেন।

এদিকে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১২৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৬টি স্থগিত হওয়ায় মেয়র প্রার্থী কাউকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়নি। এখানে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৩৫৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মজিবুর রহমান সরওয়ার ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ১৩৫ ভোট। স্থগিত এই ১৬টি কেন্দ্রের মোট ভোট ৩২ হাজার ৯৩০টি।

তবে ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী মজিবর রহমান সরওয়ারের চেয়ে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ৯৪ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন। স্থগিত কেন্দ্রের সব ভোট সরওয়ার পেলেও তিনি সাদিককে অতিক্রম করতে পারবেন না বলে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতার অপেক্ষা মাত্র।

অপরদিকে সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১৩৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২টি কেন্দ্রের ফলাফলে এগিয়ে আছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী, ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৯০ হাজার ৪৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বদর উদ্দীন আহমদ কামরান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৮৫ হাজার ৮৭০ ভোট। এই দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান ৪ হাজার ৬২৬টি।

সোমবার অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে দুটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত হয়। স্থগিত দুটি কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ৭৮৭জন। দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান এর চেয়ে কম হওয়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান ফলাফল ঘোষণা করেননি।

তিনি জানান, ভোটের ফলাফলের সিদ্ধান্তের জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠানো হয়েছে। কমিশন এ ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নেবে এটাই চূড়ান্ত হবে।