জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ

8
9

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশের মানুষের জীবযাত্রার মানোন্নয়নে একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি বদ্বীপ অঞ্চল। এখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব খুব বেশি। এ জন্য জনগণের জীবনযাত্রার আরো মানোন্নয়নে আমাদের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা প্রয়োজন।

তিনি আজ (বুধবার) সকালে তাঁর কার্যালয়ে বাংলাদেশ ডেলটা প্লান-২১০০-এর চূড়ান্ত খসড়া উপস্থাপন অনুষ্ঠানে এই অভিমত প্রকাশ করেন। বৈঠকে শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

পরিকল্পনা কমিশন সদস্য ড. শামসুল আলম এই চূড়ান্ত খসড়া পরিকল্পনার পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা তুলে ধরেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে এই পরিকল্পনার বিভিন্ন বিষয় ও সুফল সম্পর্কে অবহিত করেন। বিদ্যমান নদ-নদীগুলোর নিয়মিত ড্রেজিং ও পূরনো নৌপথ চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে পদ্মা, যমুনা, মেঘনা ও আড়িয়াল খাঁর ভাঙন একটি সাধারণ চিত্র। ডুবোচরের কারণে এই ভাঙনের সৃষ্টি হয়।

দেশে প্রতিবছর সৃষ্ট বন্যার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বন্যার ভাল ও মন্দ দু’দিকই রয়েছে। বন্যায় পলি জমে জমির উর্বরতা বাড়ে এবং এতে ফসলের ফলন বৃদ্ধি পায়। তিনি নদী ভাঙন রোধে বালু উত্তোলনের স্থান পরিবর্তন ও যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুন্দরবনে ঘাসিয়া খাল ড্রেজিংয়ের ফলে সেখানে এখন জাহাজ চলছে। বিগত বিএনপি-জামায়াত সরকার মাছ চাষের জন্য ভাড়া দেয়ার কারণে খালটি বন্ধ হয়েছিল। তিনি বাংলাদেশ ডেল্টা প্লান-২১০০-এর চূড়ান্ত খসড়া উপস্থাপনের জন্য ড. শামসুল আলম ও তার টিমকে ধন্যবাদ জানান।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পরিকল্পনা মন্ত্রী এ এইচ এম মুস্তাফা কামাল, পানিসম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান ও সংশ্লিষ্ট সচিবগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।