নড়াইলের উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র হতে সরকারি মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ তিন বস্তা ঔষধ উদ্ধার

8
40

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র হতে বিভিন্ন ধরনের সরকারি মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ তিন বস্তা জীবন রক্ষাকারি ঔষধ উদ্ধার করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার (১১ জুন) দুপুরে এ উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তব্যরত ফার্মাসিষ্ট মৃত্যুঞ্জয় রায়ের স্টোরে মজুদ থাকা অবস্থায় এ ৩ বস্তা মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ এবং তারিখবিহীন ২বস্তা কার্টুন জব্দ করেন লোহাগড়ার উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এম. এম আরাফাত হোসেন।

নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এম. এম আরাফাত হোসেন জানান, অভিযানকালে যতটুকু দেখেছি তাতে প্রতিয়মান হয়েছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তব্যরত ফার্মাসিষ্ট মৃত্যুঞ্জয় রায় যথাযথ সরকারি নিয়ম নীতি অনুসরণ না করে ঔষধ গুলো ব্যবহার করেননি, এমনকি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকেও এ বিষয় অবহিত করেননি। তিনি এগুলি অসৎ উদ্দেশ্যে করেছেন বলে মনে হয়েছে। আমি এ বিষয় আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসককে অবহিত করবো। তিনি বিষয়টি যেভাবে নির্দেশনা দিবেন সেইভাবে কাজ হবে।
তিনি আরো জানান, জব্দকৃত মেয়াদ উত্তীর্ণ তিন বস্তা ঔষধ পরবর্তীতে যদি কোন আইনি ব্যবস্থার প্রয়োজনে উপস্থাপন করা লাগে মর্মে আলাদা একটি কক্ষে কর্তব্যরত ফার্মাসিষ্ট মৃত্যুঞ্জয় রায়ের নিকট হেফাজতে রাখা হয়েছে।
লাহুড়িয়ার উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র হতে ৩ বস্তা মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ উদ্ধারের খবর লাহুড়িয়া বাজারে ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ লাহুড়িয়া এ কেন্দ্রে এসে ভিড় করে। এ সময় উত্তেজিত জনগণ চিৎকার করে শ্লোগান দিতে থাকে এবং ঘটনার সঠিক তদন্ত করে অসৎ কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে লাহুড়িয়ার বাজার কমিটির সভাপতি রুহুল মোল্যা অভিযোগ করে বলেন, এরা সব চোরের দল, এরা কারো সাথে ভাল ব্যবহার পর্যন্ত করে না। কেউ চিকিৎসা নিতে আসলে তাকে ঔষধ নেই ,ঔষধ শেষ গেছে বলে তাড়িয়ে দেয় । অথচ আজ শুনছি তিন বস্তা ঔষধ ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে আছে। এদের তো শুলে চড়ানো উচিৎ।

ঐ এলাকার ডহর পাড়ার ডা: জালু জানান, ফার্মাসিষ্ট মৃত্যুঞ্জয় রায় ঔষধ না দিতে পারলে তিনি স্বস্তি পায়। পাশাপাশি তিনি বলেন হাসপাতালের ঔষধের চেয়ে বাজারের ঔষুধ ভাল, আপনারা বাজার থেকে ঔষুধ কিনে খান।
একই এলাকার আব্দুর রহমান জানান, সরকারি ঔষুধ যারা নষ্ট করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।

ডহরপাড়ার বেলাল জানান, এ মানুষের সাথে ভাল ব্যবহার করে না। ওরা হাসপাতালের পিছনের পুকুরে এর আগেও ঔষুধ ফেলে দিয়েছে। কর্তব্যরত ফার্মাসিষ্ট মৃত্যুঞ্জয় রায় তার বিরুদ্ধে এ সব অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, এ ঔষধের বিষয় আমি লিখিতভাবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাইনি। এট আমার ভুল হয়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ এমদাদুল হক চৌধুরী জানান, আমি বিষয়টি মৌখিক ভাবে জেনেছি, অফিসিয়াল ভাবে রির্পোট পেলে, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করব।