দারিদ্র এবং ক্ষুধামুক্ত দেশ গড়তে শিক্ষার হার শতভাগ হওয়া প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী

1034
16

ডেস্ক রিপোর্ট

দারিদ্র্য এবং ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য শিক্ষার হার শতভাগে উন্নীত হওয়া জরুরি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামীতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে বাংলাদেশের আরো অনেক সোনার ছেলের প্রয়োজন রয়েছে। সকালে প্রধানমন্ত্রী গণভবনে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বলেন।

শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন। পরে ১০টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানগণ পৃথকভাবে স্ব-স্ব শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলের কপি প্রধানমন্ত্রীর নিকট হস্তান্তর করেন।

এবারের মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার গত নয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হলেও এ নিয়ে হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আগামীতে এটা আরও বৃদ্ধি পাবে, সেটা আমি আশা করি।”

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “এবার যেহেতু পরীক্ষারীর সংখ্যাও বেশি, সংখ্যার হিসাবে পাসের হার কিছুটা কম মনে হলেও সেটা খুব হতাশাজনক না, কারণ ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ পাস করা, এটাও কিন্তু কম কথা না।”

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষা বিভাগ সংক্রান্ত প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। এ সময় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বরিশাল এবং বান্দরবন জেলা সংযুক্ত ছিল। প্রধানমন্ত্রী পরে জেলা দুটির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।

এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১০টি শিক্ষা বোর্ডের ২০ লাখ ২৬ হাজার ৫১৪ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ১৫ লাখ ৭৪ হাজার ১০৪ শিক্ষার্থী পাশ করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন।

এসএসসিতে আটটি শিক্ষাবোর্ডে পাশের হার ৭৯ দশমিক ৪০ শতাংশ, মাদ্রাসা বোর্ডে পাশের হার ৭০ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ৭১ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এ বছর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ সারাদেশে মাদ্রাসা ও কারিগরিসহ ১০টি শিক্ষাবোর্ডের আওতায় সারাদেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
দেশের শিক্ষা খাতের উন্নয়নে তাঁর সরকারের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত বৃত্তি-উপবৃত্তি প্রদান করছে।

প্রধানমন্ত্রী এ বছর এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান। এ ছাড়া, বান্দরবন এবং বরিশালের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মত বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশেষ করে পার্বত্য জেলাগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য তাঁর সরকারের আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন।