পানমুনজমে দুই কোরিয়ার ঐতিহাসিক বৈঠক

36
16

ডেস্ক রিপোর্ট

দীর্ঘ বিচ্ছিন্নতা, সম্পর্কের টানাপোড়েন আর উত্তেজনার অচলায়তন পেরিয়ে দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী গ্রাম পানমুনজমে দুই কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন এবং মুন জায়ে ইনদের ঐতিহাসিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৭ এপ্রিল শুক্রবার সকালে দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী বেসামরিক অঞ্চল পানমুনজমে বৈঠকটি শুরু হয়ে।

বৈঠকের ঘণ্টাখানেক আগে কিম উত্তরের সীমারেখা পার হন। ১৯৫০-৫৩ সালে দুই কোরিয়ার যুদ্ধের পর এই প্রথম উত্তর কোরিয়ার কোনো নেতা দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তে প্রবেশ করলেন। কিমকে সীমান্তের সামরিক সীমারেখায় স্বাগত জানান  দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন। এরপর অনার গার্ডের সদস্যরা দুই নেতাকে গার্ড অব অনার দিয়ে নিয়ে যান সীমান্ত গ্রাম পানমুনজমে।

এসময় ‘পিচ হাউজ’- অতিথি বইয়ে স্বাক্ষর করেন কিম জং। সেখানে তিনি লিখেন-‘নতুন যুগের শুরু’। এরপর তারা মিডিয়ার সঙ্গে অল্প কিছুক্ষণ কথা বলেন এবং রুদ্ধতার বৈঠকে বসেন। বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন ঘোষণা দিয়েছেন, কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করতে একসঙ্গে কাজ করবেন তারা। সেই সঙ্গে অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করে এ বছরই একটি শান্তি চুক্তিতে সই করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার এসেছে দুই নেতার কাছ থেকে।

যৌথ ঘোষণায় দু’নেতা কোরিয়া উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলেও উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করা নিয়ে খোলাখুলিভাবে কিছু বলেননি। তবে নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ্য অর্জনের জন্য দুই দেশই সক্রিয়ভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন এবং সহযোগিতা খোজাঁর ব্যাপারে যৌথ ঘোষণায় একমত প্রকাশ করেছে।

চীন দুই দেশেরই নেতার সাহস এবং রাজনৈতিক সঙ্কল্পের প্রশংসা করেছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রগতির এ ধারা চলমান থাকবে বলেই তারা আশা করে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও দুই নেতার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। “ভাল ব্যাপার ঘটছে” বলে এক টুইটে মন্তব্য করেছেন তিনি।

Pic:REUTERS